৩ মাস পর বাড়ি ফিরল কামরুলের কফিনবন্দী লাশ
গত ১৮ বছর ধরে সৌদি আরবের একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন কামরুল ইসলাম ওরফে কামাল হোসেন। চলতি বছর মার্চ মাসে ছুটিতে দেশে এসে আবার এপ্রিল মাসে সৌদি আরব গেছেন তিনি। এর পরপরই হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানেই মারা যান কামরুল। এর প্রায় তিন মাস পর আজ রবিবার তার মরদেহ দেশে এসেছে। পরে নামাযে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কামরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পৌর সদরের পূর্ব দ্বীপেশ্বর এলাকায় নুর চাঁন মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, ১৮ বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান কামরুল। চলতি বছর মার্চে ছুটিতে বাড়ি এসে আবার এপ্রিল মাসে সৌদি আরবে গেলে হঠাৎ নিজ বসায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাৎক্ষণিক সহকর্মীরা দেশটির রাজধানী রিয়াদের একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কামরুল ইসলামের দুইটি সন্তান রয়েছে। সংসারে অসুস্থ রয়েছেন বৃদ্ধ বাবা-মা ও স্ত্রী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি ছিলেন। তার বাড়িতে লাশবাহী এম্বুলেন্স আসার খবরে ছুটে এসেছেন আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীরা।
কামরুলের ভাই জানান, সংসারের সমস্ত খরচের জোগান দিতেন কামাল। হাস্যজ্জল কামাল হোসেনের লাশ বাড়িতে আসলে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।