ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ /
জামায়াতসহ বিভিন্ন দল দাওয়াত পেলেও বিএনপি পায়নি
নির্বাচনকালীন সরকার, বিচারব্যবস্থা সংস্কারের দাবি ও দেশে ইসলামবিরোধী সব ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মহাসমাবেশ করছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ দুপুর ২টা থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানালেও বিএনপিকে করা হয়নি।
ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেন, বিএনপি ছাড়া ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত প্রায় সব রাজনৈতিক দলকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে দলটির কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক কেএম শরিয়তুল্লাহ বলেন, জামায়াতে ইসলামীসহ যেসব রাজনৈতিক দল পিআর নির্বাচনী ব্যবস্থার পক্ষে শুধু তাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এ সমাবেশে।
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দলের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদেরও বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। এদিকে সর্বশেষ প্রস্তুতি তদারকির জন্য গতকাল বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। এ সময় দলটির মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
সমাবেশ প্রসঙ্গে মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমেদ বলেন, মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে ১০ লাখের বেশি মানুষের জমায়েত হবে বলে আশা করছি। তবে একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের প্রচারকার্য ব্যাহত করতে মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মহাসমাবেশের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নব্যফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। এ ধরনের কাজের নিন্দা জানাই।
দলটির যুগ্ম মহাসচিব ও মুখপাত্র গাজী আতাউর রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের মহাসমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তারা উৎসাহের সঙ্গে তা গ্রহণ করেছেন। আশা করছি, এ সমাবেশ জাতীয় নেতাদের মিলনমেলা হতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?