যমুনা সেতু থেকে তুলে ফেলা হচ্ছে রেলপথ, বাড়বে সড়ক
যমুনা রেলসেতু চালু হওয়ার পর যমুনা সড়ক সেতুর ওপর নির্মিত পরিত্যক্ত রেলসেতুর রেললাইনের খুলে ফেলার কাজ শুরু করছে কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর প্রান্ত থেকে সেতুর রেললাইনের নাট-বল্টু খোলার কাজ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ও যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, গত ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু চালু হওয়ার পর সড়ক সেতুর পাশের রেলসেতুটিতে দিয়ে আর ট্রেন চলাচল করছে না। ফলে ওই রেললাইনের আর প্রয়োজনীয়তা নেই। এ জন্য সেতুর রেললাইন খুলে ফেলা হচ্ছে।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, ‘রেলওয়ে তাদের ট্র্যাকগুলো খুলে নিচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে সড়ক সেতুকে প্রশস্ত করা হবে। সড়ক সেতুর পাশে রেললাইন অপসারণ হলে সড়ক সেতুতে আরও সাড়ে ৩ মিটার বাড়বে। আমরা সাড়ে তিনমিটার মূল সড়ক সেতুর সঙ্গে সংযোগ করব। এতে উভয় লেনে ১ দশমিক ৭৫ মিটার বাড়বে। বর্তমানে সেতুর প্রতি লেনের প্রশস্ততা রয়েছে ৬ দশমিক ৩ মিটার। অথচ আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড হলো ৭ দশমিক ৩ মিটার। এ কারণেই যানজট আর দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়। রেললাইন অপসারণের পর প্রতি লেন ৮ মিটার প্রশস্ত হবে বলে জানান তিনি। ’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।’
জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতুটি উদ্বোধন হলেও সেখানে কোন রেলপথ ছিল না। পরবর্তীতে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সেতুর ওপর উত্তরপাশে লোহার এঙ্গেল দিয়ে তৈরি করা হয় রেলসেতু। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। দ্রুতগতিতে ট্রেন চলার কারণে ২০০৬ সালে সেতুতে ফাটল ধরে। পরে ট্রেন চলাচলের গতিসীমা করা হয় ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। এতে একটি ট্রেনকে সেতু পার হতে ২২ মিনিট সময় লাগে। এ কারণে সেতুর দুই প্রান্তে ট্রেনের জট বেঁধে যায়।