১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী নয়, আট বছর আগেই প্রস্তাব দিয়েছিল বিএনপি
কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের বা ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন বলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের যে প্রস্তাব করেছে তা আট বছর আগেই বিএনপি দিয়েছিল বলে জানালেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বিএনপির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবে না- এটা সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। দুই মেয়াদে দশ বছর। এটাতে ঐকমত্য আছে। এটা তো বিএনপির প্রস্তাবনা। যা আট বছর আগে বিএনপি দিয়েছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, আমরা ভিশন ২০৩০ এর মধ্যেই বলেছি দুই মেয়াদের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না। এখানে ঐকমত্য না থাকার কোনো কারণ নেই। যারা এখন নতুনভাবে সংস্কারের কথা বলছে তারা এখন এই কথা বলছে বলে উল্লেখ করেন খসরু।
ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠকের আলোচনার বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সবার আগে নির্বাচন। এটা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসে হতে যাচ্ছে-এ জন্য সবার একটা প্রস্তুতি আছে। সন্তুষ্টি আছে। তারা (ইইউ প্রতিনিধিদল) আশা করছেন, দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দেশ ফিরে যাবে। তারা তো সবাই অপেক্ষা করছেন একটি নির্বাচিত সরকারের ওপর তাদের কর্মকান্ড কী হবে। এতে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। যেগুলো একটি নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে করতে সবাই স্বস্তি বোধ করবে। এগুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘আপনারা জানেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। দেশে শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে যে সমস্যা আছে-সে বিষয়ে আলোচনা করেছে। তারা জানতে চেয়েছেন আমাদের চিন্তা ভাবনা কী। ’
তিনি বলেন, ‘আগামী দিনের পার্লামেন্টকে ইইউ সহযোগিতা করতে চাচ্ছেন এবং পার্লামেন্টের কার্যক্রম যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনা করা যায়- ইইউ-এর পক্ষ থেকে তারা সহযোগিতা করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালনা করার বিষয়টি উঠে এসেছে।’