৩৪ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত

দিনাজপুর প্রতিনিধি
২৬ জুন ২০২৫, ১১:০৫
শেয়ার :
৩৪ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত

দিনাজপুর বিরল উপজেলায় ৩৪ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশের তাৎক্ষণিক অভিযানে সকল নাটকের অবসান হয়। সাজানো ছিনতাই ঘটনার প্রকৃত তথ্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয় পুলিশ। 

গতকাল বুধবার রাত ১২টায় দিনাজপুর পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন জেলার বিরল থানায় এক প্রেস ব্রিফিং এ ছিনতাই ঘটনার নাটক সৃষ্টিকারী মো. মইনুল ইসলামের উপস্থিতিতে এই তথ্য প্রকাশ করেন। 

তিনি বলেন, ‘মইনুল ইসলাম তার ব্যাংকে থাকা সিসি লোন থেকে বাঁচার জন্য ছিনতাইয়ের নাটক সৃষ্টি করেছিলেন।মইনুল ইসলাম সাংবাদিকদের সম্মুখে তার এই নাটকের কথা অকপটে স্বীকার করেছেন।’

জেলার বিরল উপজেলায় দিন-দুপুরে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ ৩৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মঞ্চস্থ করেন বিরল উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর পুত্র মো. মইনুল ইসলাম (৫৫)। 

পুলিশ সুপার জানান, নগদ টাকা ও মোবাইল- ফোনসহ মোটর-সাইকেলের চাবি পুলিশ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ঋণের বোঝা থেকে সাময়িক মুক্তির ভাবনায় ছিনতাই নাটক মঞ্চস্থ করার কথা স্বীকার করেন মইনুল নিজেই।

গতকাল বুধবার দুপুর ২টায় দিনাজপুর- রল সড়কের মুরাদপুর সংলগ্ন কালভার্টের নিকট পথরোধ করে অস্ত্র ঠেকিয়ে নগদ ৩৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের সাজানো ঘটনা এলাকায় মুহূর্তে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়ে যায়।

নিজ বাড়ি হতে ২৬ লাখ টাকা এবং এনআরবিসি ব্যাংক বিরল শাখা হতে ৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে মোট ৩৪ লাখ টাকা নিয়ে দিনাজপুর অগ্রণী ব্যাংকে স্টেশন রোড শাখায় সিসি লোনের টাকা জমা দেয়ার জন্য মোটরসাইকেল যোগে বিরল থেকে দিনাজপুর যাওয়ার পথে উক্ত স্থানে পৌঁছামাত্র দুটি মোটরসাইকেলে ৪ জন রাস্তা প্রতিরোধ করে বলে তিনি নাটকীয় ভাবে জানান। এরপর পিছন থেকে আরেকটি মোটরসাইকেলে দুজন ব্যক্তিসহ মোট ৬ জন মইনুল ইসলামের মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তার কাছে ব্যাগে থাকা ৩৪ লাখ টাকা ছিনতাই করে নেয় বলে তাৎক্ষনিকভাবে উপস্থিত পথচারীদের জানান তিনি। 

সংবাদ পেয়ে দিনাজপুর পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হোসাইন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) সিফাত ই- রাব্বান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আবদুল হালিম, থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছবুর, পরিদর্শক (তদন্ত) আনিছুর রহমান সরকারসহ উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। প্রাপ্ত তথ্য থেকে কোনো আলামত না পাওয়ায় নাটকের রচয়িতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তল্লাশী করে নগদ ১১ লাখ টাকা, মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেলের চাবি ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পুলিশ উদ্ধার করেন।