সোনারগাঁয়ে জমি ও দোকান দখল, আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৫ জুন ২০২৫, ০৮:৫৩
শেয়ার :
সোনারগাঁয়ে জমি ও দোকান দখল, আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমিসহ দোকান-প্লট দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর এলাকায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কাজী শাহাজাদার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। দখলের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী। 

গত সোমবার নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৫নং আদালতে ৩ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি দায়ের করেন একই এলাকার কাজী কুতুবউদ্দিনের ছেলে কলেজছাত্র কাজী জুদান। 

এর আগে গত ৩১মে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে বন্ধ করে দেয় অভিযুক্তরা। এর পরদিন তালতলা তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

জানা যায়, উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর কাজীপাড়া গ্রামের কাজী কুতুবউদ্দিনের ছেলে কাজী রিদোয়ান ২ শতাংশ জমি ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে নামজারি করে ২০ বছর ধরে দোকান নির্মাণ করে ভোগ দখলে আসছেন। সম্প্রতি একই গ্রামের মৃত কাজী ইউনুস মিয়ার ছেলে ও জামপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী শাহাজাদা, ভাতিজির জামাই আরিফ ইসলাম ও ভাতিজি কাজী আয়েশা আক্তার ওই জায়গা নিজের দাবি করেন। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ওই জমি কাজী রিদোয়ানের বলে রায় দেওয়া হয়। এ রায় অমান্য করে কাজী আয়েশা আক্তার নারায়ণগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় নিজেদের প্রমাণ দিতে না পারায় ২০২৫ সালের ২৯ জানুয়ারী স্ব স্ব দখলে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।

আদালতের রায় অমান্য করে গত ৩১ মে তারা পুনরায় ওই জমিতে গড়ে ওঠা দোকানে গিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে তালা ঝুলিয়ে দেন। এ ঘটনায় কাজী রিদোয়ানের ছোট ভাই কাজী জুদান বাদি হয়ে পরের দিন তালতলা তদন্ত কেন্দ্রে অভিযোগ দায়ের করেন। 

ওই অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে গত সোমবার নারায়ণগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ৫নং আদালতে ৩ জনকে আসামি করে কলেজছাত্র কাজী জুদান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।

মুড়াপাড়া সরকারী কলেজের ছাত্র ও মামলার বাদি কাজী জুদান জানান, এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আয় দিয়ে তার সংসারসহ পাড়াশোনার খরচ চালাতে হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে ভাংচুর ও লুটপাট করে বন্ধ করে দেওয়ায় তারা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। অভিযুক্তরা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে হামলা ও ভাংচুর করেছে।

অভিযুক্ত আওয়ামীলীগ নেতা কাজী শাহাজাদাকে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ক্ষুদে বার্তা দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।  

তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল হক জানান, দোকান দখল ও ভাংচুরের ঘটনার অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। ভুক্তভোগীরা পুলিশকে সময় না দিয়েই আদালতে মামলা দিয়েছেন।