জমি নিয়ে বিরোধে মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যা, ২ আসামির ফাঁসি
চাঁদপুরের কচুয়ায় সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে মাদ্রাসাছাত্র মো. মিলন হোসেনকে (১২) শ্বাসরোধ ও পানিতে ডুবিয়ে হত্যার দায়ে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক সৈয়দ তাফাজ্জল হোসেন হিরু এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কচুয়ার কান্দিরপাড় প্রধানিয়া বাড়ির মো. ইমাম হোসেন ও পাশের পাড়াগাঁও গ্রামের সোহাগ হোসেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাব্বি হোসেন একই এলাকার কান্দিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা।
রায়ে শামিম হোসেন ও সোহাগ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড, ১ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর আসামি রাব্বি হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।
হত্যাকাণ্ডের শিকার মিলন হোসেন ছিলেন কান্দিরপাড় গ্রামের মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের ছেলে এবং স্থানীয় চাপাতলী মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
জানা যায়, মিলনের বাবা তাজুল ইসলামের সঙ্গে আসামিদের স্বজনদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ২০১৫ সালের ২৯ জুন দুপুরে মিলন রহিমানগর বাজারে যায় এবং সেদিন থেকেই নিখোঁজ থাকে। পরদিন বড় ভাই রিপন হোসেন কচুয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ২ জুলাই স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা যায়, শামীম, সোহাগ ও রাব্বি মিলনকে ধনচের জমিতে নিয়ে শ্বাসরোধ করে এবং পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেছে।
স্থানীয়দের সহায়তায় প্রথমে শামীমকে আটক করা হয়। তার জবানবন্দিতে বাকি দুজনের নাম উঠে আসে। পরে পুলিশ তিনজনকেই গ্রেপ্তার করে এবং মিলনের মরদেহ উদ্ধার করে। ওইদিনই রিপন হোসেন বাদী হয়ে কচুয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ওয়াজেদ আলী ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সরকারপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, মামলায় ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।