অভিবাসীদের তৃতীয় দেশে নির্বাসনের অনুমতি মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৪ জুন ২০২৫, ১০:৩৬
শেয়ার :
অভিবাসীদের তৃতীয় দেশে নির্বাসনের অনুমতি মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের

যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে এমন একটি অভিবাসন নীতি বাস্তবায়নের অনুমতি দিয়েছে, যার আওতায় শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় না দিয়ে তৃতীয় কোনো ‘নিরাপদ’ দেশে ফেরত পাঠানো যাবে।

এই রায়ের ফলে ট্রাম্প প্রশাসন আবারও তার পূর্বের কড়াকড়ি অভিবাসন নীতি চালু করতে পারবে, যা মূলত মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আগত অভিবাসীদের লক্ষ্য করে প্রণয়ন করা হয়েছিল।

এই নীতির অধীনে, যারা যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের আবেদন করতে আসেন, তাদেরকে এমন দেশে ফেরত পাঠানো হবে যেখানে তারা ইতিমধ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন বা যেখানে তারা আগে নিরাপদে আশ্রয় চাইতে পারতেন। অর্থাৎ, যদি কেউ গুয়াতেমালা বা মেক্সিকোর ভেতর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের পরিবর্তে তাকে ওই দেশেই পাঠানো যাবে।

বিবিসির প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, সুপ্রিম কোর্ট ৬-৩ ভোটে এই রায় দেন, যা ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন নীতির পক্ষে একটি বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্ন আদালত এই নীতির উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়, ফলে প্রশাসন এখন এই নীতি কার্যকর করতে পারবে।

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি অবৈধ প্রবেশকারীদের নিরুৎসাহিত করবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার করবে।’

অন্যদিকে, মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছে। তারা বলছে, এই নীতির ফলে বহু মানুষকে এমন দেশে ফেরত পাঠানো হবে, যেখানে তারা সহিংসতা, দারিদ্র্য বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হতে পারেন।

শরণার্থী অধিকার রক্ষাকারী সংস্থাগুলো বলছে, এটি আন্তর্জাতিক শরণার্থী চুক্তির পরিপন্থী।

এই রায় এমন সময় এসেছে যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আবারও কঠোর অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘সীমান্তে শূন্য সহনশীলতা’ বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ হচ্ছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই রায় তার প্রশাসনের জন্য একটি বড় আইনি সহায়তা এবং রাজনৈতিক হাতিয়ার হয়ে উঠবে।