নাটোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৬ জন গ্রেপ্তার
নাটোরের গুরুদাসপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে খেলনা পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট এলাকায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গুরুদাসুপর উপজেলার সিরাজুল হকের ছেলে মো. আব্দুর রাজ্জাক (৩৮), মৃত কামাল হোসেনের ছেলে মো. কাওসার (২৫), আব্দুল আজিজের ছেলে মো. বিপ্লব মিয়া (২৪), মো. রওশন মিয়ার ছেলে মো. মনিরুল ইসলাম (২৪), মো. মোবারকের ছেলে মো. মবিদুল ইসলাম (২১) এবং সালাম আলীর ছেলে মো. সুরুজ আলী (২১)।
নাটোর সেনাবাহিনীর ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল ও তল্লাশির অংশ হিসেবে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট এলাকায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে চেকপোস্টে কর্তব্যরত সেনা সদস্যরা ৪ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করে তল্লাশি চালান। এ সময় তল্লাশি ও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এক পর্যায়ে ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি খেলনা পিস্তল এবং কয়েকটি দেশীয় ধারাল অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তারা স্বীকার করেন, তারা একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং ২ জনের নির্দেশে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাকাতি কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনী পুনরায় অভিযান পরিচালনা করে জড়িত ২ ডাকাত দলের প্রধানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেন।
সূত্র আরও জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাত দলের সদস্যরা স্বীকার করে, তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৮টি অটোরিকশা, ১২টি মোটরসাইকেল, ৯টি কোরবানির গরু ডাকাতি ও চাঁদা না দেওয়ায় ৬টি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। এছাড়া তারা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে চাঁদাবাজির ঘটনাও সংঘটিত করেছে বলে স্বীকার করে। এ ঘটনার পর ডাকাত দলের ৬ জনকে গুরুদাসপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুরুদাসপুর থানার ওসি আসমাউল হক জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করা হবে।