বিএনপিতে সম্ভাব্য প্রার্থীর ভিড়, তৎপর জামায়াত-এলডিপি
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকেই আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে নির্বাচনমুখী হয়েছেন। সর্বশেষ ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে তারা নিজ এলাকায় দলীয় নেতাকর্মী এবং অনুসারীদের নিয়ে ঈদ উদযাপনের পাশাপাশি নানা আয়োজনও করেছেন। অসুস্থ নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া, জুলাই আন্দোলনে শহীদ পরিবার অথবা আহতদের খোঁজ-খবর নেওয়া ছাড়াও নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। কিন্তু সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে একটা অনিশ্চয়তাও তৈরি হয়। এ অবস্থায় গত ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠকে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচন বিষয়ে ঐকমত্য হওয়ায় সেই দ্বিধা কেটে গেছে রাজনৈতিক দলগুলোর।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বলেন, নির্বাচন নিয়ে দ্বিধা কেটে যাওয়ায় সারাদেশের মতো বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও প্রচার-প্রচারণায় আগের চেয়ে গতি বাড়িয়েছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছেন। দিনরাত ঘুরে বেড়াচ্ছেন মাঠে-ময়দানে। দলীয় কর্মসূচি ও সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন দলের সম্ভাব্য মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। আর তাদের অনুসারীরাও সরব সামজিক মাধ্যমে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামের প্রতিটি আসনেই বিএনপির একাধিক সম্ভাব্যপ্রার্থী মাঠে রয়েছেন। সম্ভাব্য এসব প্রার্থীর কাছে দলীয় নেতাকর্মীদেরও
কদর বাড়ছে বলে মনে করেন বিএনপির চট্টগ্রামের নেতারা। দলের গুরুত্বপূর্ণ এক নেতা বলেন, নিত্যনতুন সম্ভাব্যপ্রার্থী নির্বাচনী এলাকায় যাচ্ছেন। এসব কারণে আসনভিত্তিক নেতাকর্মীদের মাঝে বড় ধরনের বিভক্তি দেখা দিতে পারে, যা আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এ ব্যাপারে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জন্য দলীয় একটি কমন নির্দেশনা থাকা উচিত।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের শামীম বলেন, নির্বাচনের জন্য বিএনপি প্রস্তুত। আমরা নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। নির্বাচনে আগ্রহী প্রার্থীরা মাঠে আছেন। আর দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী থাকবেÑ এটাই স্বাভাবিক।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনেই প্রাথমিকভাবে জামায়াতে ইসলামী তাদের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করায় একক প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছে দলটির নেতাকর্মীরা। জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সাবেক হুইপ ও প্যানেল স্পিকার শাহজাহান চৌধুরী আমাদের সময়কে বলেন, আমাদের দল চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। তারা মাঠে-ময়দানে কাজ করছেন। আমরা বিশ^াস করি, স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৪ বছরে বিভিন্ন দল দেশ শাসন করেছে। কোনো শাসকগোষ্ঠী জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। আশা করছি, এবার দেশের মানুষ জামায়াতে ইসলামীকে দাঁড়ি পাল্লা প্রতীকে রায় দেবে।
চট্টগ্রামের কয়েকটি আসনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) প্রার্থী দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতারা। কিন্তু কতটা আসনে তারা শেষ পর্যন্ত নির্বাচন করবে, তা নির্ভর করবে মিত্র রাজনৈতিক দল বিএনপি ও এলডিপির নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের পর।
নির্বাচনে আগ্রহী থাকলেও এখনও প্রার্থী ঠিক করেনি নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সমন্বয়ক ইমন সৈয়দ বলেন, বর্তমানে সংগঠনের নেতারা সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত। এ কারণে প্রার্থী ঠিক হয়নি
চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) : এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, ক্লিপটন গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রফেসর এমডি কামাল উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও বড়তাকিয়া গ্রুপের কর্ণধার বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল ইসলাম ইউসুফ। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান।
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) : এ আসনে সাবেক মনোনয়নপ্রত্যাশী পিজিআর প্রধান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মো. আজিম উল্লাহ বাহার। তিনি ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন। এ ছাড়া মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে আরও আছেনÑ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছালাউদ্দিন ও সরোয়ার আলমগীর। ২০০৮ সালে এ আসনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির প্রার্থী সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তার মৃত্যুর কারণে এ আসনে পরিবারের কাউকে প্রার্থী করতে পারে দলটি। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ নুরুল আমিন।
চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) : এ আসনে সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (কেন্দ্রীয় দপ্তর) তরিকুল আলম তেনজিং, তবিউল আলম, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের মনোপ্রত্যাশী। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আলাউদ্দিন শিকদার।
চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) : এ আসনে বিএনপির একক প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী। আসনটিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী আনোয়ারুল সিদ্দিকী।
চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ) : এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতা ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। এদের মধ্যে মীর হেলাল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ছেলে এবং শাকিলা ফারজানা সাবেক হুইপ ও সংসদ সদস্য প্রয়াত সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে। এ আসনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি এসএম ফজলুল হকও সম্ভাব্যপ্রার্থী হিসেবে বেশ আলোচনায় আছেন। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) : এ আসনে আলোচনায় আছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সিকদার। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী শাহজাহান মঞ্জুর।
চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) : এ আসনে প্রয়াত সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় থেকে প্রায় প্রতিনিয়ত প্রচার, সভা-সমাবেশ করছেন। এ ছাড়াও সম্ভাব্যপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম খান, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু আহমেদ হাসনাত। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান।
চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও বোয়ালখালী ও পাঁচলাইশ আংশিক) : এ আসনে সম্ভাব্যপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান। ২০১৮ সালে আসনটি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন আবু সুফিয়ান। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ডা. আবু নাসের।
চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) : এ আসনে চসিক মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বেশ আলোচনায় আছেন। ২০১৮ সালে আসনটি থেকে ডা. শাহাদাত হোসেন নির্বাচন করেছিলেন। বর্তমানে তিনি মেয়রের দায়িত্ব পালন করায় তিনি হয়তো আসনটি আবুল হাশেম বক্করকে ছেড়ে দিতে পারেন। একই আসনে জামায়াতের প্রার্থী ডা. ফজলুল হক।
চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর-খুলশী) : এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে সাঈদ আল নোমান। এখানে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং, ইপিজেড ও সদরঘাট) : এ আসনে একক প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। জামায়াতের প্রার্থী শফিউল আলম।
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) : এ আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী মো. শাহজাহান জুয়েল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ এবং নগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ লোকমান।
চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) : এ আসনে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মামুন মিয়া এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস সম্ভাব্যপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন। এখানে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান।
চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া আংশিক) : এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম এবং ২০০৮ সালের বিএনপির প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরী। এখানে জামায়াতের প্রার্থী শাহাদৎ হোসাইন। তবে এলডিপির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ ২০১৮ সালে এ আসন থেকে নির্বাচন করেন। এবার তিনি নির্বাচন না করলে তার বড় ছেলে এলডিপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক ওমর ফারুককে প্রার্থী হিসেবে দেখা যেতে পারে।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া) : এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মো. মহিউদ্দিন, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান এবং লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন, সাতকানিয়া উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক (ইউকে), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটি মানবাধিকারবিষয়ক সম্পাদক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরীর সাবেক আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) : সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী এ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছেন। এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী জহিরুল ইসলাম।