ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক আহত, আটক ১০

কসবা প্রতিনিধি
১৬ জুন ২০২৫, ২৩:০২
শেয়ার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক আহত, আটক ১০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে কমপক্ষে শতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে মেহারী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুল আওয়াল এবং মেহারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফা কামালের সমর্থকের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের শিমরাইল সাতপাড়া এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। আজ দুপুরে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামালের সমর্থকরা  ককটেল ও লোহার রড নিয়ে আবদুল আওয়ালের সমর্থক ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবদুল হান্নানের বাড়ি-ঘর ও দোকান-পাট ভাঙচুর চালায়।

এ সময়ি দুপক্ষের লোকজনদের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী চলে সংঘর্ষ। দুইপক্ষই ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। তারা লোহার চল ও টেঁটা দিয়ে আক্রমণ করে। দফায় দফায় চলে এ সংর্ঘষ। এতে উভয়পক্ষের শতাধিক লোকজন আহত হয়। খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনায় কামাল মিয়া (২৪), জসিম উদ্দিন (৪০), কিবরিয়া (৫০), টেঁটাবিদ্ধ সুমন মিয়া (৪৫) গুরুতর অবস্থায় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানন। অপর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র দুই পক্ষের লোকজনদের মধ্যে সংর্ঘষ হয়েছে। উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বাড়ি-ঘর ও দোকান-পাট ভাঙচুর হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা করেনি।