গুমবিষয়ক শক্তিশালী কমিশন গঠন করা হবে: আসিফ নজরুল

অনলাইন ডেস্ক
১৬ জুন ২০২৫, ১২:১৬
শেয়ার :
গুমবিষয়ক শক্তিশালী কমিশন গঠন করা হবে: আসিফ নজরুল

গুমবিষয়ক আইনের অধীনে একটি শক্তশালী স্থায়ী কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, ‘বর্তমান গুম কমিশন যেখানে কাজ শেষ করবে, পরবর্তী কমিশন সেখান থেকে কাজ শুরু করবে।’

জাতিসংঘের গুম বিষয়ক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ সোমবার সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘গুম সংক্রান্ত কমিশন গঠন ও আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়ায় জাতিসংঘের প্রতিনিধিদল আমাদের প্রশংসা করেছেন। এ বিষয়ে তারা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে চেয়েছেন।’

গুমবিষয়ক আইনটি আগামী এক মাসের মধ্যে হবে বলে আশা প্রকাশ করেন আইন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘এই আইন হলে যেকোনো সরকারের জন্য কাউকে গুম করা অনেক রিস্ক ও কষ্টসাধ্য হবে। জুলাইয়ে গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির আগে আরও ভালো কিছু কাজ করা হবে।’

আইন করলে পরবর্তী সরকার আইনটি বাতিল করবে কিনা- জানতে চাইলে ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত নেতারা নিজেই গুমের শিকার হয়েছেন। এনসিপি ও ইসলামী দলগুলো গুমের ব্যাপারে সোচ্চার রয়েছেন।’

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে যারা গুমের স্বীকার হয়েছেন তাদেরকে মিসিং সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়টি আইনে যুক্ত করা যায় কিনা চিন্তাভাবনা করছে সরকার বলেও জানান আসিফ নজরুল। এরমধ্যে ডেথ সার্টিফিকেটের মতো সব ধরনের কাজ করা যাবে।

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ পুনর্বিবেচনার সুযোগ আছে জানিয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকারি যে চাকরি আইন রয়েছে সেটার বিষয়ে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানসহ আমাদের একাধিক উপদেষ্টা বলেছেন, এখানে অবশ্যই পুনর্বিবেচনার অবকাশ রয়েছে। আমি বিদেশে ছিলাম, আইনটি প্রণয়নের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলাম না। পরবর্তী সময়ে যখন আমি আইনটি দেখেছি, দেখার পর আমার কাছে মনে হয়েছে এটা অবশ্যই পুনর্বিবেচনার সুযোগ রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘শুধু একটা বিষয় আমি বলতে পারি- সরকার কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে আইনটি করেনি। অসৎ উদ্দেশ্য আইন করা না হলেও কোনো কোনো আইনের মধ্যে এমন বিধান থাকতে পারে, এই আইনের যারা সাবজেক্ট তাদের কাছে মনে হতে পারে তারা বিড়ম্বনা বা হয়রানির শিকার হতে পারেন। আমরা স্বীকার করি- এ রকম সম্ভাবনা এই আইনের মধ্যে থাকতে পারে। এটি মূলত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আইন, আমরা শুধু গেজেট নোটিফিকেশন করেছি।’