‘চুপ থাকতে হয় তখন, যখন শিশুরা ঘুমায়, তাদের মৃত্যুর সময় নয়’
ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে হেগে লাখ লাখ মানুষ ‘রেড লাইন’ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছেন।
গতকাল রবিবার চার সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো হেগের রাস্তায় বিশাল জনতা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের দিকে মিছিল করে।
বিক্ষোভের আয়োজকদের মধ্যে ছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সও।
বিক্ষোভকারীদের বহন করা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘চুপ থাকতে হয় তখন, যখন শিশুরা ঘুমায়, তাদের মৃত্যুর সময় নয়।’
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
অক্সফামের মতে, নেদারল্যান্ডসের প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে সরকারকে আরও কিছু করার আহ্বান জানিয়েছে।
বিক্ষোভের লক্ষ্য ছিল একটি প্রতীকী ‘লাল রেখা’ তৈরি করা, যা দিয়ে তারা বোঝাতে চেয়েছে যে- সরকার গাজা এবং ফিলিস্তিনি জনসংখ্যার উপর ইসরায়েলের যুদ্ধ থামাতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা গান গেয়ে, বক্তৃতা দিয়েছে এবং আদালতের পাশ দিয়ে মিছিল নিয়ে যায়। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকার একটি মামলার শুনানি চলছিল, যেখানে অবরুদ্ধ ছিটমহলে যুদ্ধের সময় ইসরায়েলকে গণহত্যা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
অক্সফাম নোভিবের পরিচালক মিচিয়েল সার্ভেস বলেছেন, গাজায় গণহত্যা বন্ধে সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়ে এ দিন দেড় লাখেরও বেশি মানুষ বিক্ষোভে অংশ নেন।
হেগ থেকে আল জাজিরার স্টেপ ভেসেন বলেছেন, ‘বিশাল ভোটার উপস্থিতি প্রমাণ করে যে নেদারল্যান্ডসের আরও বেশি মানুষ ইসরায়েলের প্রতি তাদের সরকারের সমর্থন প্রত্যাখ্যান করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদিও পদক্ষেপের অভাব নিয়ে অনেক হতাশা রয়েছে, বিক্ষোভকারীরা বলছেন যে ইসরায়েলের মনোযোগ অন্যদিকে সরানোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গাজায় অব্যাহত গণহত্যার উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত।’
বিক্ষোভকারীরা ইরানের উপর ইসরায়েলের আক্রমণ বন্ধ করার আহ্বানও জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
এদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ বলেছেন, ‘হেগে লাখ লাখ মানুষ উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং হতাশা নিয়ে তাদের কণ্ঠস্বর তুলেছেন। যা অভূতপূর্ব।’
এক্সে তিনি লেখেন, ‘নেদারল্যান্ডস সহিংসতা বন্ধ এবং মানবিক অবরোধের অবসান ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ক্রমাগত দেখছি কিভাবে আমরা আমাদের প্রচেষ্টার মাধ্যমে, পর্দার সামনে এবং পিছনে, পরিস্থিতির উন্নতির জন্য সবচেয়ে কার্যকর হতে পারি।’