বিএনপি নেতাকে মারধর, সাবেক ওসি কারাগারে
খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফকরুল আলমকে নির্যাতনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় খুলনা সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ রবিবার দুপুরে খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার এ নির্দেশ দেন। শুনানি শেষে ওসি হাসান আল মামুনকে জেলা কারাগারে নেওয়ার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা আদালত চত্বরে ডিম ও আম ছুড়ে মারে।
আদালত সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরে মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের দায়ের করা মামলায় খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। শুনানি শেষে আদালত জামিন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
কারাগারে নেওয়ার সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা হাসান আল মামুনকে লক্ষ্য করে পচা ডিম এবং আম নিক্ষেপ করে। এ সময়ে তারা ওসি হাসান আল মামুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। পরে বিএনপি নেতাদের শান্ত রাখতে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, ‘মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রবিবার দুপুর ১২টায় খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
তিনি আরো জানান, ‘এর আগে আসামি হাসান আল মামুনকে আদালতে হাজির হতে তিনবার সমন জারি করেন আদালত। কিন্তু একবারও তিনি আদালতে উপস্থিত হননি। আদালতের নির্দেশ অবমাননা করায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। পরে তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি নগরীর কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি হাসান আল মামুন নিজেই ফখরুল আলমকে বেদম মারপিট করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল আলম।