ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ নিয়ে যা বললেন এরদোয়ান

আন্তর্জতিক ডেস্ক
১৫ জুন ২০২৫, ১৮:৩০
শেয়ার :
ইসরায়েল-ইরান যুদ্ধ নিয়ে যা বললেন এরদোয়ান

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে ‘ভয়াবহ যুদ্ধ’ বেঁধে গেলে তা বড় ধরনের শরণার্থী সংকট তৈরি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। গতকাল শনিবার আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক ফোনালাপে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন 

প্রথমে এরদোয়ান কথা বলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানকে। তিনি বলেছেন, ইসরায়েল পুরো অঞ্চলকে অগ্নিকুণ্ডে ফেলার চেষ্টা করছে। এটি সকলের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।

এরপর সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে এরদোয়ান জানিয়েছেন, ‘আমাদের অঞ্চল আর কোনো সংকট নিতে পারবে না। এই বিধ্বংসী যুদ্ধ অভিবাসন সমস্যা সৃষ্টি করবে, যা সবার জন্য হুমকি হবে।’

এরদোয়ান বলেন, ইসরাইলকে ‘অবশ্যই থামাতে হবে’। তিনি ইসরাইলকে ‘আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার প্রধান হুমকি’ হিসেবেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয় কেবল শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।’

ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে মিসাইল ও ড্রোন হামলা বেড়ে যাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তুরস্ক ইতোমধ্যে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে বাস্তুচ্যুত লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে। এছাড়া, ইরান থেকে রাজনৈতিক কারণে পালিয়ে আসা লোকেরাও রয়েছে। এতে তুরস্কে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।

এরদোয়ান আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনে দখলদারিত্ব ও গণহত্যার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চোখ বন্ধ করে রাখায়, ইসরায়েল আইনের লঙ্ঘন ও আগ্রাসনে এতদূর পোঁছেছে।’

জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও কথা বলেছেন এরদোয়ান। তার কার্যালয় জানিয়েছে, শনিবার তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষেও তিনি সমর্থন দিয়েছে।