উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি রাশেদ খাঁনের
যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দুর্নীতি করেছেন কি না, তা তদন্তের দাবি করলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন। আজ বুধবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ দাবি করেন রাশেদ খাঁন বলেন, ‘এপিএস এত দুর্নীতি করল আর আমাদের মাননীয় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ কিছুই জানতেন না? সরকারের কাছে দাবি– যেমনভাবে তদন্ত হচ্ছে এপিএস মোয়াজ্জেমকে নিয়ে, ঠিকই একইভাবে আসিফ মাহমুদের মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি, যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে; তাই তার বিরুদ্ধেও তদন্ত হতে হবে।’
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে গঠন করা সরকার জনমতকে উপেক্ষা করছে উল্লেখ করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এ সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যা গ্রহণযোগ্য না। একক এই সিন্ধান্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আচরণকে মনে করিয়ে দিচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সরকার এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে উপদেষ্টারা আমলে না নিয়ে এপ্রিলে নির্বাচনের সম্ভাব্য দিন ঘোষণা করেছে, কিন্তু এই অন্তর্বর্তী সরকারকে মনে রাখতে হবে, তারা গণঅভ্যুত্থানের সরকার। এই সরকার ব্যর্থ হলে, জাতি তাদের ক্ষমা করবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এই সরকারের সমালোচনা করেছি, উপদেষ্টাদের কাজের সমালোচনা করেছি। আমরা একটি বারের জন্যও প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি, কিন্তু দেশবাসী প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের নাটক দেখেছে।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
রাশেদ খাঁন বলেন, ‘নির্বাচন সংস্কার কমিশনের নতুন প্রস্তাবে রয়েছে, ৪০ শতাংশের কম ভোট পড়লে ওইসব আসন ও কেন্দ্রে পুনরায় ভোট হবে। এপ্রিল মাস গরমের মাস। ওই সময় দেশের মানুষ ফসল নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এপ্রিলে নির্বাচন হলে স্বাভাবিকভাবেই ভোটার উপস্থিতি কম হবে। এভাবে ৪০ শতাংশের কম ভোট দেখাতে পারলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় রয়ে যাবে। আমরা বলতে চাই, দেশে ১/১১ নতুন করে অ্যাকটিভ করার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশে নতুন করে ভিন্ন কৌশলে ১/১১ বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র চলছে।’
সরকার শেখ পরিবারের কাউকে এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পলাতক সন্ত্রাসীরা প্রধান উপদেষ্টাসহ গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারীদের নিয়ে অপপ্রচার ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের এসব অপরাধী, শেখ পরিবারের সদস্য ও বিতর্কিত নির্বাচনের কথিত এমপিরা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালাল? কারা তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করল? এই সরকারকে সেই হিসাব দিতেই হবে। সরকারের উপদেষ্টারা আওয়ামী লীগের পলাতক এমপি-মন্ত্রীদের সম্পদ পাহারা দিচ্ছেন।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
মতবিনিময় সভায় গণঅধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি প্রভাষক সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রাসেল আহমেদ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিহান হোসেন রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি।