আওয়ামী লীগের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, তাদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান আখতারের
বিগত সময়ে যেসব ব্যক্তি ও দল নিজেদের আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত রেখেছিল, তাদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ বুধবার দুপুরে রংপুরের পীরগাছায় এনসিপির উপজেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এনসিপি সদস্যসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ভোট ডাকাতির নির্বাচনগুলো হয়েছে, একপাক্ষিক নির্বাচনগুলো হয়েছে। তার প্রত্যেকটাকে বৈধতা দেবার নাটক করেছিল জাতীয় পার্টি। পার্টি বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে। আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল, যে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল, তার প্রধানতম রাজনৈতিক সহযোগী ছিল জাতীয় পার্টি।’
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকারের সঙ্গে যারা প্রতারণা করেছে, বাংলাদেশের মানুষের ওপর জুলুম নিপীড়নের রাস্তাকে যারা উন্মুক্ত করে রেখেছে, তাদেরকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা আর প্রাসঙ্গিক মনে করি না।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
আখতার হোসেন বলেন, ‘জাতীয় পার্টির বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে জাতীয় আবেদন, সেটা শেষ হয়ে গেছে। একইসঙ্গে জনগণের সঙ্গে তারা যে প্রতারণা করেছে, সে প্রতারণার জন্য তারা এখনো জাতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেনি। সেক্ষেত্রে আমরা মনে করি বিগত সময়ে যারা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন দিয়েছে, আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যারা বিভিন্নভাবে নিজেদেরকে যুক্ত রেখেছে, সেই প্রত্যেক ব্যক্তিকে, প্রত্যেকটা দলকে যেন সঠিকভাবে আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।’
এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আহ্বান রাখব আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ফ্যাসিবাদের যত দোসর আছে তাদের সকলের ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষ যেন সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বাংলাদেশে আর কখনোই আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির মতো স্বৈরাচারপন্থী কোনো দল যেন রাজনীতি করবার সুযোগ না পায়।’ এ জন্য বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিকে কাজ করবার আহবান জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
আজ দুপুরে পীরগাছা উপজেলা পরিষদের সামনে এনসিপির উপজেলা কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন আখতার হোসেন। এনসিপি নেতা শামীম হোসেনের সঞ্চালনায় এতে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সদস্য, শিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী বক্তব্য দেন।