মাসুদের বিরুদ্ধে যৌনকর্মীকে হত্যার অভিযোগ
টাঙ্গাইল শহরের কান্দাপাড়া এলাকার যৌনপল্লিতে বাসনা আক্তার (১৯) নামে এক যৌনকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে।
পল্লির যৌনকর্মীদের অভিযোগ, বাসনা আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার কথিত প্রেমিক মাসুদ। তবে পুলিশ বলছে, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
জানা গেছে, বাসনা আক্তারের মা-বাবা নেই। ছোটবেলা থেকেই শহরের কান্দাপাড়া যৌনপল্লিতে বড় হয়েছেন তিনি। পরে সেখানেই যৌনকর্মী হিসেবে যোগ দেন বাসনা। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার মগড়া ইউনিয়নের চর খিদিরপুর গ্রামের মাসুদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাসুদ পেশায় একজন রিকশাচালক।
ঘটনা প্রসঙ্গে যৌনকর্মীরা জানান, প্রতিদিনই বাসনার ঘরে যাতায়াত করতেন মাসুদ। তাদের মধ্যে প্রায় সব সময়ই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। মঙ্গলবার দুপুরে মাসুদকে কয়েক বার ফোন দিয়ে আসতে বলেন বাসনা। বারবার ফোন দেওয়ার ফলে মাসুদ সেখানে আসতে বাধ্য হয়।
তারা বলেন, যৌনপল্লির রেক্টিফায়েড স্পিরিট বিক্রি হয় সেই দোকান থেকে মাসুদ স্পিরিট নিয়ে আসেন। তারপর বেশ কিছুক্ষণ বাসনার ঘরে অবস্থান করেন। কিছুক্ষণ পরে মাসুদ ডাক-চিৎকার শুরু করেন। তার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের যৌনকর্মীরা ছুটে আসেন। তারা এসে বাসনাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তারা মাসুদকে ঘরের বাইরে এনে হাত-পা বেঁধে মারধর করেন।
ঘরের মালিক টাঙ্গাইল সদর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। একপর্যায়ে পুলিশ অভিযুক্ত মাসুদকে সেখান থেকে সরিয়ে নেয়।
টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানবীর আহাম্মেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের মরদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। বর্তমানে তদন্ত চলমান রয়েছে।
ওসি বলেন, বাসনা আক্তারের কথিত প্রেমিক মাসুদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।