কেন্দুয়ায় অশালীন গান গাইতে নিষেধ করায় হামলা, নিহত ১
বাড়ির সামনে গান অশালীন গাইতে নিষেধ করায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারী শিশুসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় আনিছুর রহমান (৪৫) নামে একজন মারা যান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের দনাচাপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। আনিছুর রহমান দনাচাপুর গ্রামের মৃত চান মিয়া ফকিরের ছেলে।
পুলিশ ও গ্রাম সূত্রে জানা গেছে, দনাচাপুর গ্রামের সিদ্দিক গংদের সঙ্গে একই গ্রামের সাইদুর রহমানদের পূর্ব বিরোধ ছিল। মঙ্গলবার দিন বিকেলে সাইদুর রহমানের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সিদ্দিক মিয়ার বাড়ির ছেলে সাইম, নাঈমসহ আরও কয়েক ছেলে অশালীন গান গাইছিলেন। অশ্লীল গান না গাওয়ার জন্য নিষেধ করেন সাইদুর রহমানের লোকজন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিদ্দিক গং লাঠিসোঁটা নিয়ে সাইদুরের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় নারী পুরুষ ও শিশুসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দনাচাপুর গ্রামের রেজিয়া আকতার (৬৫), রোকেয়া (৬০), মোস্তুরা বেগম (৬৫), প্রতিপক্ষের আব্দুল মালেকের স্ত্রী ফজর বানুকে (৬৫) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও হাবিবুর রহমানকে (৪১) নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে রেফর্ড করা হয়। তাছাড়া আহত সমরাজ (৫৫), সুমাইয়া (২০), খোদেজা (৩২), জহুরা বেগম (৪০), সুরাইয়া (১৭), আরিফ (২০), আবুল কালাম (৩৭), ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম (১০) ও ছালেহা বেগম (৬০) প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শরিফ জানান, রাত ৮টার দিকে দনাচাপুর গ্রামের চান মিয়া ফকিরের ছেলে আনিছুর রহমান (৪৫) নামে একজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
কেন্দুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওমর কাইয়ূম জানান, সাইদুরের বাড়ির সামনে গান গাইতে নিষেধ করায় প্রতিপক্ষের লোকেরা হামলা করলে সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কিছু লোক আহত হন। পরে খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে আনিছুর রহমান নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্ডেমের জন্য রাতেই থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনায় পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।