‘বিচার হবে প্রকাশ্যে, ক্যাঙ্গারু কোর্ট নয়’
‘রাষ্ট্রে যারা অনাচার ও নির্যাতন চালিয়েছে, তারা কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে যেকোনো পর্যায়ের ব্যক্তির বিচার হবে—এবং সেই বিচার সরাসরি সম্প্রচার হবে টেলিভিশনে।’ এমনই ঘোষণা দিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক (গ্রেড-১) আনসার উদ্দিন খান পাঠান।
গত রবিবার বিকেলে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ কর্তৃক আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ‘গ্রেড-১’ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ায় কলেজের পক্ষ থেকে তাকে এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আনসার উদ্দিন বলেন, ‘এখন আর কোর্টে বিচার হবে, আর মানুষ কিছুই জানবে না, এই কালচার চলবে না। জনগণ প্রত্যক্ষভাবে বিচার দেখবে। অত্যাচারীরা কী শাস্তি পাচ্ছে, সেটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। এতে জনমনে জমে থাকা ক্ষোভের প্রকাশ ঘটবে এবং ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়, এই বার্তাও পৌঁছে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এ বিচার হবে ন্যায়ের ভিত্তিতে, কোনো ক্যাঙ্গারু কোর্ট নয়। শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের বিচার প্রক্রিয়াও নিয়মতান্ত্রিকভাবেই শুরু হবে। কারো বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক সিদ্ধান্ত নয়, বরং প্রকৃত সত্যের ভিত্তিতেই বিচার কার্যক্রম চলবে।’
স্বাধীনতার ৫২ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কোনো একপক্ষের লেখকের রেফারেন্সে কাউকে ফাঁসিতে ঝোলানোর যুগ শেষ হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি বলেন, ‘এই বিচার হবে স্বচ্ছ, ন্যায়নিষ্ঠ এবং জবাবদিহিমূলক।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি মাসুদুর রহমান খান মুকুল, অধ্যক্ষ মো. হাবিবুর রহমান খন্দকার, শ্যামগঞ্জ বাজারের প্রবীণ ব্যবসায়ী আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, গোহালাকান্দা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফকির মো. ছায়েদ আল মামুন শহীদ, কলেজের বিদ্যুৎসাহী সদস্য ওবায়দুল্লাহ আল মাসুম খোকন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কলেজের সাবেক কৃতি ছাত্র সালমান রহমান পল্লব।
প্রোগ্রামে বিভিন্ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।