মধ্যরাতে নাচগানের জেরে ২ গ্রামবাসীর মাঝে সংঘর্ষ, আহত ২৫
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সুন্নতি খাতনা অনুষ্ঠানে মধ্যরাত পর্যন্ত ড্যাকসেট বাজিয়ে নাচগানকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল রবিবার দিনগত মধ্যরাত সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন হামিরদী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন মাতুব্বর।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের ইমরান মুন্সী তিনি কারারক্ষী হিসেবে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে চাকুরি করেন। তার ছেলের সুন্নতে খাতনার অনুষ্ঠান আজ সোমবার দুপুরে। এ উপলক্ষে একদিন আগে থেকেই গোপিনাথপুর ও ছোট হামিরদী মধ্যবর্তী স্থান প্রাইমারি স্কুল মাঠে বাইরে থেকে শিল্পী ভাড়া এনে ড্যাকসেট বাজিয়ে উচ্চস্বরে নাচগানের আয়োজন করেন।
রাতভর অশ্লীল আয়োজনে গ্রামবাসীর মাঝে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সময় প্রতিবেশী ছোট হামিরদী গ্রামের কয়েকজন ছেলেদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে ২ গ্রামবাসী মাইকে ঘোষণা দিয়ে টর্চ জ্বালিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রথমে গোপীনাথপুর গ্রামবাসী ছোট হামিরদী গ্রামের দুলাল শেখের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটতরাজ করলে গ্রামে গ্রামে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাতভর চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ততক্ষণে উভয় গ্রামের নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ছোট হামিদদী গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন মাতুব্বর, আজম, সোলেমান, আরিফ, বিকাশ, দুলাল শেখ, দোলা বেগমকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদের ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফ হোসেন জানান, গাজীপুর কাশেমপুর কারাগারের এক কারারক্ষীর ছেলের সুন্নতে খাতনা অনুষ্ঠানে শিল্পী এনে গান বাজনার আয়োজন করেন। সেখানে ছোট ছোট ছেলেদের সঙ্গে হাতাহাতির এক পর্যায়ে গ্রামে গ্রামে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সংঘর্ষে ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন, ২/৩টি বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষের অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।