শাকিবের দ্বিতীয় অধ্যায় আমার ঘাড়ে পড়েছে!
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। প্রায় ২০ বছরের অভিনয়জীবনে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য হিট সিনেমা। সবশেষ এই নায়িকাকে দেখা গেছে ‘ছায়াবৃক্ষ’তে। সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক নিরব। বন্ধন বিশ্বাসের পরিচালনায় এটি মুক্তি পায় গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। এরপর ব্যক্তিজীবন নিয়ে অনেকটাই ব্যস্ত হয়ে পরেন অপু। এই ঈদে দর্শকদের নতুন কোনো কাজ উপহার না দিলেও, নায়িকা ফিরছের খুব শিগগিরই। বেশ কিছু সিনেমা নিয়ে কথা চলছে তার।
অভিনয় আর ব্যক্তিজীবনের নানা প্রসঙ্গ নিয়ে দৈনিক আমাদের সময় অনলাইন’র সঙ্গে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।
ঈদের দিনটি কিভাবে কাটালেন?
সকাল থেকেই খুব ব্যস্ত ছিলাম। কোরবানি, রান্না, মেহমানদারি- সব মিলিয়েই দিনটি কেটেছে। এবার ঈদে কয়েকটি খাসি কোরবানি দিয়েছি। সেগুলোর কাটাকাটি এরপর রান্না ঘরে গিয়ে আমার ও জয়ের (আব্রাম খান জয়) পছন্দের অনেক খাবার তৈরি করেছি। এবারের ঈদ আমার জন্য বিশেষ। কারণ অনেকেই জানেন বেশ কিছুদিন ধরে নিজেকে তৈরি করতে ডায়েটে আছি। পছন্দের অনেক খাবার চাইলেও খেতে পারিনি এতদিন। ঈদের কোনো বাঁধা মানছি না।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
জয় কী তার বাবার সঙ্গে ঈদ করেছে?
আসলে জয়কে ঈদের দিন বাবার (শাকিব খান) বাসায় যেতে হবেই- আমার মনে হয় এটা আমি বলার কেউ না। জয় এখন অনেকটাই বড় হয়েছে। তাছাড়া জয় ওর বাবার ভক্ত। ছেলেরা সাধারণত মায়ের ভক্ত হয়- এমনটাই দেখেছি। কিন্তু জয়ের বেলার ভিন্ন। আর ঈদ বা কোনো উৎসব আসলেই যে জয়কে বাবার বাসায় যেতে হবে- বিষয়টি আসলে তেমনও না। জয় প্রায় যাওয়া-আসার মধ্যেই থাকে। আমিও ওর মধ্যে কখনও ওই বিভাজনটা আনিনি। ছোট মানুষ- আমি চাই না ভবিষ্যতেও জয়ের মধ্যে ‘বিভাজন’ শব্দটা থাকুক। জয়ও যখন ইচ্ছে ওর বাবার কাছে যাচ্ছে, দাদা-দাদির সঙ্গে দেখা করছে- এভাবেই চলছে।
ঈদের সিনেমা দেখতে হলে যাবেন?
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
হ্যাঁ, ঈদের ব্যস্ততা একটু কমলেই হলে গিয়ে ঈদের কয়েকটি সিনেমা দেখার ইচ্ছা আছে। এই ঈদেও তো দর্শকদের নিরাশ করলেন। আশার বাণী কবে শোনাবেন? আর খুব বেশি সময় নেবে না। হাতে অনেকগুলো গল্প এসেছে। এখন শুধু সিদ্ধান্ত নেওয়া। গল্পগুলো পড়ছি। দেখি কোনটা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে যায়। এরপরই শুটিংয়ে নামবো। আশা করি, কিছুদিনের মধ্যেই নতুন কাজের খবর পাবে আমার ভক্ত-দর্শকরা। ইদানিং ব্যক্তিজীবন নিয়ে প্রায়ই খবরের শিরোনাম হচ্ছেন… আলোচনায় না থাকলে তো আপনারা আবার ভুলে যাবেন! আসলে খবরের শিরোনাম সব সময়ই কাজ (অভিনয়) দিয়েই হতে চেয়েছিলাম। ২০০৭ সালের দিকে তাকালেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠবে। যেসব নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়, সব দোষ কি আমার? একটা সময় বলতাম, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল বিয়ে। কিন্তু এখন বলব, শাকিবের দ্বিতীয় অধ্যায় আমার ঘাড়ে এসে পড়েছে!
শাকিবের দ্বিতীয় অধ্যায়, যদি একটু ব্যাখ্যা করতে…
আমি কারো নাম উল্লেখ করতে চাই না বলেই ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ কথাটা বলেছি। স্বামী-স্ত্রীদের দেখবেন, একজন অন্যজনের দেখানো পথ ধরেই হাঁটে। এখন সোশ্যাল মিডিয়া দেখলে মনে হয় আমি কাউকে বিয়ে করেছি। আমি যা করি, সেও তাই করে। আর এ নিয়েই চলে যত আলোচনা-সমালোচনা। যাই হোক, সেসব বিষয় এখন মুখেও আনতে চাই না। সবশেষ কথা একটাই, কাজ দিয়ে আলোচনায় থাকতে চাই।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’