চামড়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোলার ব্যবসায়ীরা, লোকসানের আশঙ্কা
ভোলায় এ বছর ৩০ হাজার গরু ও ছাগল কোরবানি হয়েছে। এসব চামড়া সংগ্রহ এবং সংরক্ষণে ব্যস্ত আড়ৎদাররা। তবে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম, শ্রমিক মজুরি ও পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ায় ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কিত ভোলার চামড়া ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানালেন, হাত ঘুরলেই বেড়ে যায় চামড়া দাম। এতে ট্যানারি মালিকদের কাছে এ চামড়া পৌছাতে খরচ বহুগুনে বেড়ে যাচ্ছে, ফলে ন্যায্য দাম নিয়ে অনেকটাই চিন্তিত আড়ৎদাররা।
আড়ৎদার মো. জাফর ও ইউসুফ বলেন, ‘মৌসুমী ব্যবসায়ীরা গ্রাম ঘুরে ঘুরে চামড়া কিনে আনছেন, যা আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এতে আমাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।’
আরেক আড়ৎদার মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘প্রতি বছরই লাভের আশায় চামড়া কিনি। কিন্তু একবারও লাভের মুখ দেখিনা। কারণ চামড়ার দাম উঠা-নামা করছে। এখন পর্যন্ত ১০ হাজার পিস চামড়া কিনেছি। এখন অপেক্ষা করছি দাম কেমন পাব তা নিয়ে।’
জানা গেছে, প্রতি বছরের এবছরও লাভের আশায় গরু ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করেছেন আড়ৎদাররা। কিন্তু এ বছর লবন, শ্রমিক ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধির কারণে চামড়া বিক্রি নিয়ে চিন্তিত তারা।
এর মধ্যে আবার মৌসুমি ব্যবসায়ীরা অল্পদামে চামড়া সংগ্রহ করায় ন্যায্যা দাম পাবেন কিনা, তা নিয়ে শঙ্কিত আড়ৎদার। অনেকে লোকসানের আশঙ্কা করছেন।
প্রসঙ্গত, ভোলায় বর্তমানে গরুর চামড়া প্রতি পিস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ছাগলের চামড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর বাইরে চামড়া সংরক্ষণে শ্রমিক মজুরি এবং ট্যানারি মালিক পর্যন্ত পৌছাতে খরচ বেড়ে যাওয়া সরকার নির্ধারিত দাম পাবেন কিনা তা সময়ের অপেক্ষা ব্যবসায়ীদের।
এদিকে ন্যায্য দাম পেলে চাড়মার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবাই লাভবান হবেন বলে মনে করছে প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর।
জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আশা করছি এবার চামড়া ব্যবসায়ী যারা রয়েছেন খুচরা, পাইকার এবং আড়ৎদার সবাই ন্যায্য দাম পাবেন।’
উল্লেখ্য, এ বছর জেলায় চাহিদা অনুয়ায়ী ৯০ হাজার গরু ও ছাগল কোরবানি হয়েছে। আর ভোলার চামড়া সরাসরি চলে যায় ঢাকার আড়তে।