ঈদের দিন সিকৃবিতে ‘মেজবানী ভোজ’
ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে এবং ঈদের আনন্দ সবাই মিলে ভাগাভাগি করে উপভোগ করার লক্ষ্যে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) প্রথমবারের মতো ঈদুল আযহার দিনে গরু, ছাগল কুরবানি ও মেজবানী ভোজের আয়োজন করছে সিকৃবির ইসলামিক ইয়ুথ এসোসিয়েশন।
আজ শুক্রবার সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেইজের একটি পোস্টে এই ঘোষণা দেন। ব্যতিক্রমধর্মী এই উদযাপনে মুসলিম শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্যও থাকবে ভিন্ন আয়োজন। এর মাধ্যমে সিকৃবির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও পারস্পরিক ভালোবাসা আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আয়োজকরা।
এই আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা আজিজুল হক আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখতে সিকৃবিতে প্রথমবারের মতো ঈদুল আযহার দিনে গরু কুরবানি ও মেজবানী ভোজের আয়োজন করছি। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, ঈদ পরবর্তী পরীক্ষা, বাড়ির দূরত্ব ও অস্বচ্ছলতাসহ নানা কারণে অনেক শিক্ষার্থী পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে পারেন না। এছাড়াও অনেক কর্মচারীরা ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকার ফলে ঈদ ও কুরবানির আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন। মূলত তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ উদযাপন করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।’
আজিজুল হক বলেন, ‘ঈদ আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ঈদ উদযাপনের কোনো উদ্যোগ না থাকাটা হতাশাজনক। আমরা আশা রাখি, আগামীতে ঈদকে উৎসব আকারে পালন করতে প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ থাকবে এবং আধিপত্যবাদী সংস্কৃতির মোকাবিলায় আমাদের সংস্কৃতি আরো বিকশিত হবে, বাড়বে জাতিগত আত্মসচেতনতা।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঈদের দিন বাদ যোহর ছাত্রদের জন্য হযরত শাহজালাল (র.) হলে খাবারের আয়োজন করছি এবং মেয়েদের জন্য নির্দিষ্ট হলে পাঠিয়ে দিবো। আশা করি ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সিলেটের যে সকল শিক্ষার্থীরা আছেন তারাও আমাদের এই উদযাপনে অংশগ্রহণ করবেন ‘