রংপুরে ৮ উপজেলায় ১৪৮৫টি ঈদের জামাত
রংপুর জেলায় এ বছর ৮ উপজেলায় ১ হাজার ৪৮৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে মাঠে। এছাড়া রংপুর নগরীর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে প্রধান ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করবেন রংপুর কেরামতিয়া জামে মসজিদের খতিব মাওলানা বায়োজিদ হোসাইন। ইতিমধ্যে ঈদুল-আজহার প্রধান জামাত উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুরের জাতীয় কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে গিয়ে দেখা যায় পুরো মাঠেই শামিয়ানা টাঙ্গানোর কাজ চলছে। মাঠের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করছেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা। মাঠের প্রধান গেটসহ ৩টি গেট নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহের মতোই রংপুর নগরীর ও জেলার বিভিন্ন প্রধান প্রধান ঈদগাহে জামাতের প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে।
ঈদের দিন আবহাওয়া দুর্যোগপূর্ণ থাকলে প্রধান জামাত রংপুর জেলা মডেল মসজিদে দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল ৮টায় এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।
জামাতের সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জেলার অন্যান্য ঈদগাহ ও মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঈদের জামাত আদায়ের লক্ষ্যে বর্তমানে চলছে ইদগাহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও সাজ-সজ্জার কাজ। অন্যদিকে ঈদের নামাজ সুষ্ঠভাবে আদায় করতে আইনশৃঙ্খলাসহ সব বিষয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এদিকে রংপুর জেলায় এ বছর ৮ উপজেলায় ১ হাজার ৪৮৫টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে মাঠে। তবে বৃষ্টির কারণে প্রায় আড়াই হাজার মসজিদে পবিত্র ঈদুল-আযহার নামাজ আদায় করবেন মসুল্লিরা। রংপুর কেন্দ্রীয় কালেক্টরেট ঈদগাহ ময়দানে, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ প্রায় ৫৫-৬০ হাজার মুসল্লি ঈদ জামাতে অংশ নেবেন।
রংপুর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ‘রোদ বৃষ্টির জন্য ওপরে শামিয়ানা টাঙানো হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া ভালো আছে। বৃষ্টি হলে মডেল মসজিদে ঈদ উল আজহার নামাজ আদায় হবে।’
ঈদের জামাত নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানের জন্য সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোসহ জেলা ও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ঈদের জামাতে পুলিশ থাকবে। প্রধান প্রধান সড়কে পুলিশের টহল ও চেক পোস্ট বাড়ানো হয়েছে বলে জানান আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্টরা। নিরাপত্তার জন্য ঈদগাহ মাঠে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহল টিমও রয়েছে।