ট্রেনে ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভীড়
ঈদুল আজহায় প্রানের মায়া তুচ্ছ করে ঝুঁকি নিয়েই ট্রেনে ছুটছে ঘরমুখো মানুষ। তাইতো ট্রেনযাত্রায় দেখা যাচ্ছে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাতটার দিকে শ্রীপুর রেল স্টেশন ছেড়ে যাওয়া জারিয়া গামী বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঈদযাত্রার এমন দৃশ্য দেখো গেছে।
জানা যায়, ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি আজ থেকে শুরু হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলার হাজার হাজার লোক শ্রীপুরে বিভিন্ন পেশায় কর্মরত। এদের মধ্যে জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোনা জেলার লোকদের সড়ক পথে ঈদযাত্রায় ভাড়া বেশি । থাকে যানজটের ঝুঁকি। তাই বেশির ভাগ মানুষ নিরাপদ যাত্রার জন্য বেছে নেয় ট্রেন। ছুটির শুরুতে আজ সকালে শ্রীপুর স্টেশনে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে ।
জারিয়া গামী বলাকা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে আসে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে। সকাল সাতটায় ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ করতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী। ইঞ্জিনে-ছাদে কোথাও ঠাঁই নেই। তবু ট্রেনে উঠতে প্রানান্ত চেষ্টা। যে যার মতো করে উঠছেন ট্রেনে। কেউ জানালা দিয়ে। কেউ দু’বগির ফাঁকে। কেউ উঠছেন ছাদে। পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে নারীরাও উঠেছেন ছাদে। অনেকে আবার ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাদুর ঝুলা হয়ে আছেন দরজার হাতলে। যাত্রা বিরতির পর ট্রেনটি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেলে ও অনেকের পক্ষে এ ট্রেনে বাড়ি ফেরা সম্ভব হয়নি।
যাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কম খরচে দ্রুত যানজট মুক্ত ভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন ট্রেনে। তাই তারা বাড়ি যেতে ট্রেনকে বেশি পছন্দ করেন।
হালুয়া ঘাটের সামসুল হক বলেন, স্ত্রী সন্তান নিয়ে ট্রেনে বাড়ি যেতে চেয়েছিলেন। কোন ভাবেই ট্রেনে উঠতে পারেননি। এখন বিকল্প ভাবে যাবেন বাড়িতে। দূর্গাপুরের হালিমা বলেন, তিনি শ্রীপুরে পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ট্রেন বাড়ি যেতে এসেছিলেন। ট্রেনে কোন ঠাঁই ছিলোনা । এখন অন্য ট্রেনে যাবার অপেক্ষা করছেন।
শ্রীপুরের কর্তব্য রতক স্টেশন মাষ্টার মো. সাইদুর রহমান জানান, সকাল থেকে স্টেশনে প্রচুর যাত্রী ভীড় করে। সকাল সাতটা চার মিনিটে জারিয়া গামী বলকা এক্সপ্রেস ট্রেন স্টেশন ছাড়ে। সব যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেনি। বহু যাত্রী রয়ে গেছে।