অস্ত্র ও মাদকসহ ১৩ মামলার আসামি জাহিদ গ্রেপ্তার

বোয়ালমারী প্রতিনিধি
০৪ জুন ২০২৫, ১৩:১১
শেয়ার :
অস্ত্র ও মাদকসহ ১৩ মামলার আসামি জাহিদ গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, ১৩টি মামলার আসামি মোহাম্মদ জাহিদ হোসেনকে (৪৩) আটক করেছে যৌথবাহিনী। তার নামে ডাকাতি, মাদক, ছিনতাই, মারামারি ও পুলিশ কোপানোসহ বোয়ালমারী থানায় ১৩টি মামলা ও বিভিন্নস্থানে আরও একাধিক মামলা রয়েছে।

তিনি পৌরসভার গুনবহা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান মোল্যার (মান্নান মিস্ত্রি) ছেলে ও পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. ফরিদ হোসেনের ছোট ভাই। 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে জাহিদ হোসেনের শ্বশুরবাড়ি পৌরসভার গুনবহা গ্রামের লুৎফর শেখের বাড়ি অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশের যৌথ টিম। 

এ সময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি একনলা এলজি বন্দুক, এক রাউন্ড গুলি ও ৮০০ পিস ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে অভিযানিক দল। 

অভিযানিক দল সূত্রে জানা যায়, জাহিদ তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, ছিনতাই, মাদক কারবার, মারামারিসহ গণমাধ্যম কর্মী ও পুলিশকে দায়িত্ব পালনকালে কুপিয়ে আহত করার মামলা রয়েছে। 

পুলিশ জানায়, ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল এই চিহ্নিত মাদক কারবারিকে আটক করতে গেলে এসআই সিন্ধু বিশ্বাস নামে এক উপপরিদর্শককে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে পালিয়ে যান জাহিদ হোসেন। চলতি বছর পৌর সভার তালতলা বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে তার হাতে হামলার শিকার হন এক গণমাধ্যম কর্মী। সম্প্রতি ফরিদপুরে একটি সন্ত্রাসী বাহিনীর সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়লে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে, সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে শ্বশুর বাড়ি থেকে ফের মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন জাহিদ হোসেন মোল্যা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোয়ালমারী সেনা ক্যাম্প ও থানা পুলিশ তাকে শ্বশুর বাড়ি থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করে। 

বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, তার বিরুদ্ধে বোয়ালমারীতেই ১৩টি মামলাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, এক রাউন্ড গুলি ও ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। দুপুরে তাকে ফরিদপুর বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হবে।