ঈদযাত্রায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চরম দুর্ভোগ
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ছয় লেনের কাজ চলছে ধীরগতিতে। দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলগামী ২৬ জেলার একমাত্র পথ এই মহাসড়ক। প্রতিদিনই ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশ কাঁচপুর থেকে ভূলতা গাউসিয়া পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। বিশেষ করে তারাব বিশ্বরোড থেকে বরপা পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার যানজট যেন নিত্যদিনের ঘটনা। এই ছয় কিলোমিটার পার হতে কখনো ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা পার হয়ে যায়। এর মধ্যে ছয় লেনের উন্নিতকল্পে কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে। আর মাত্র ৩ দিন পরই ঈদুল আজহা। ঢাকা ছেড়ে মানুষজন ফিরবেন গ্রামের বাড়ি। এ দিকে কোরবানির পশুরহাটকে কেন্দ্র করে সড়কে বাড়ছে গরুবোঝাই ট্রাকসহ বাড়তি যানবাহনের চাপ।
কাঞ্চন সেতুর পশ্চিম অংশে দুইপাশ দিয়ে যানবাহন চলাচলের জন্য অনেকটা উপযোগী হলেও কাঞ্চন সেতু থেকে রূপগঞ্জের গোলাকান্দাইল অংশে বেশ কয়েক জায়গায় রাস্তা যান চলাচলের জন্য অনুপযোগী। অপরদিকে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে (ঢাকা বাইপাস) চলছে চার লেনে উন্নিতকল্পের কাজ চলছে। গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে রূপগঞ্জের ১০ মিনিটের রাস্তা যেতে হচ্ছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টায়।
এদিকে সড়কে যানবাহন চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এশিয়ান হাইওয়ে কাঞ্চন সেতুর টোল প্লাজার কারণে সবচেয়ে বেশি যানজট লেগে থাকে।
ঢাকা-সিলেট গত ৫ দিন যাবত দিনরাত যানজট লেগেই রয়েছে। এর ওপর আজ শুরু হলো ঈদে ঘরমুখী মানুষের বাড়ি যাওয়া। মহাসড়কের ফিটনেস, লাইসেন্সবিহীন লোকাল বাস, লেগুনা আর অটোরিকশার বেপরোয়া চলাচলের কারণে যানজট লেগেই থাকে।
বাসযাত্রী আলী আকবর ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘১০ মিনিটের রাস্তায় যদি ৩ ঘণ্টা লাগে। এর চেয়ে কষ্ট কি আছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বসে থাকতে থাকতে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন যাত্রীরা।
রুপসী ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর রাজীব বাহাদুর বলেন, ‘সড়কের সংস্কার কাজের জন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। সড়কে যানজট নিরসনে জেলা ট্রাফিক থেকে বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আশা রাখি সামনের সময়গুলোতে ঈদগামী মানুষের ভোগান্তি অনেক কম হবে।’
রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদমুখী যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে । এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের চার লেনের কাজ চলমান। যা আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবার কথা। সড়কের সংস্কারের জন্য কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে ভোগান্তি অনেকটা বেড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে সড়কে যেন যানজট সৃষ্টি না হয়, সেজন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫২ জন সেচ্ছাসেবী কাজ করছে। আশা রাখি জনদুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হবে।’