মেলান্দহে বকেয়া বেতন চাইতে গিয়ে নার্স মারধরের শিকার

মেলান্দহ প্রতিনিধি
০৪ জুন ২০২৫, ০৯:৩১
শেয়ার :
মেলান্দহে বকেয়া বেতন চাইতে গিয়ে নার্স মারধরের শিকার

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার হাজরাবাড়ী জেনারেল হাসপাতালে বকেয়া বেতন চাইতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন আশা মনি (২০) নামে এক নার্স। এ ঘটনায় তিনি মেলান্দহ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী আশা মনি মেলান্দহ পৌরসভার বাসুদেবপুর এলাকার আসর শেখের মেয়ে। তিনি গত দুই বছর ধরে ওই হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুন দুপুরে বকেয়া বেতন চাইতে গেলে হাসপাতালের মালিকপক্ষ তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করেন। একই সঙ্গে তাকে ভয়ভীতি ও হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন মাদারগঞ্জ উপজেলার উত্তর জোড়খালী এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে মো. সবুজ এবং মেলান্দহের গুজামানিকা এলাকার মৃত ধবু সরকারের ছেলে মো. রফিক।

আশা মনির অভিযোগ, গত ৫ মাস ধরে তাকে কোনো বেতন দেওয়া হয়নি। একাধিকবার দাবি করলেও মালিকপক্ষ শুধু সময়ক্ষেপণ করে আসছিল।

অভিযোগের বিষয়ের জানতে চাইলে মো. সবুজ বলেন, আশা মনির এক মাসের বেতন বাকি রয়েছে। ওই দিনই দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফার্মেসির বকেয়া পরিশোধ করতে গিয়ে তাকে টাকা দেওয়া হয়নি। কথা কাটাকাটি হয়েছে। তবে মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

অন্যদিকে মো. রফিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, মালিক পক্ষ ও কর্মরত অধিকাংশ কর্মচারী গা ঢাকা দিয়েছেন। অপারেশন থিয়েটার, রিসিপশন, ব্লাড কালেকশন রুমসহ বেশিরভাগ কক্ষ তালাবদ্ধ ছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন হাসপাতাল কর্মচারী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদেরও বেতন বকেয়া রয়েছে। টাকা চাইলে কর্তৃপক্ষ নানা ধরনের অজুহাত দেয় এবং বিরূপ আচরণ করে। 

তারা বলেন, ‘আশা মনির অভিযোগ মিথ্যা নয়।’

স্থানীয়দের অনেকে জানান, এ হাসপাতালে কর্মীদের সঙ্গে বেতনসংক্রান্ত বিরোধ নতুন নয়। তবে এবার ঘটনা থানায় গড়ানোয় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আশা মনি নামে এক নার্স থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করেছে এবং প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’