বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ, প্রতিক্রিয়া জানাল সিপিডি

অনলাইন ডেস্ক
০৩ জুন ২০২৫, ১৪:৫২
শেয়ার :
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ, প্রতিক্রিয়া জানাল সিপিডি

প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ মঙ্গলবার সকালে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। 

প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘এই সুযোগ থাকলে মধ্য ও নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য প্লট বা ফ্ল্যাট কেনা অসম্ভব হয়ে যাবে। এর ফলে সমাজে বৈষম্য হবে।’

সিপিডি জানায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত কর ব্যবস্থায় সরকার ব্যক্তি পর্যায়ে নির্ধারিত বিশেষ কর প্রদানের মাধ্যমে ভবন, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট বা ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ রেখেছে। যদিও করের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো হয়েছে।

সিপিডি তাদের পর্যবেক্ষণে বলেছে, অন্তর্বর্তী সরকার যখন অবৈধ আয়, অবৈধ লেনদেন, অর্থপাচার রোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, তখন এ ধরনের উদ্যোগ জনগণের কাছে ভুল বার্তা পাঠানোর ঝুঁকি তৈরি করছে।এটা জুলাইয়ের চেতনার পরিপন্থী।

ব্রিফিংয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘জুলাই আন্দোলন বৈষম্যহীন সমাজের জন্য হয়েছিল। বাজেটের প্রত্যয়টা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করার, সেটার সঙ্গে এই প্রস্তাব চরমভাবে সাংঘর্ষিক।’

বাজেটে অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভবন, অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে গেলে সেখানে অপ্রদর্শিত আয় দেখিয়ে বর্ধিত হারে বিশেষ কর দিয়ে সেটি ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু আমরা সবসময় বলে এসেছি কালো টাকা সাদা করার প্রস্তাব একেবারেই বন্ধ করা উচিত। এটা নৈতিকভাবে সমর্থনযোগ্য নয়, আমরা এটা সমর্থন করছি না।’

এই প্রস্তাব সৎ করদাতাদের অনুৎসাহিত করবে জানিয়ে ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘তাদের নৈতিকতার ওপর আঘাত। আমরা এই প্রস্তাব উঠিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করছি। এটা বৈষম্য সৃষ্টির হাতিয়ার।’

এর আগে গতকাল সোমবার অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে জাতীয় বাজেট পেশ করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। 

উল্লেখ্য, গত বছর জুলাইয়ে শুরু হওয়া গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয় ৫ আগস্ট। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়।