৭ দিনের ছুটি নিয়ে পুলিশ সদস্য বাড়ি ফিরলেন লাশ হয়ে
নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবিতে নিখোঁজ পুলিশ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের (৩০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি সাত দিনের ছুটিতে বাড়ি যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে।
আজ সোমবার বিকেলে হাতিয়ার চানন্দী ইউনিয়নের চর নঙ্গলিয়ার দরবেশ বাজারসংলগ্ন মেঘনা নদীর মোহনা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাতিয়া নৌ-পুলিশের ইনচার্জ আশীষ চন্দ্র সাহা।
সাইফুল ইসলাম লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার চরশাহী গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। তিনি নোয়াখালী জেলা পুলিশ লাইনে দীর্ঘ দিন কর্মরত ছিলেন। তবে সাম্প্রতি তার কুমিল্লায় বদলি হয়েছে।
সাইফুলের বড় বোন জান্নাতুল ফেরদাউস স্বপ্না বলেন, ‘সাত দিনের ছুটি পেয়ে আমার ভাই বাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু এখন ভাই ফিরল লাশ হয়ে। বাবা-মা শোক সইতে না পেরে বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাসানচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কুতুব উদ্দিন জানান, গত মঙ্গলবার রোহিঙ্গা রোগী নিয়ে ভাসানচরে আসেন পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেদিন ফেরত যেতে না পেরে গত শনিবার ফেরার সময় এই দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
এর আগে গত শনিবার দুপুরে ভাসানচর থেকে ৩৯ জন যাত্রী নিয়ে বয়ারচরের চেয়ারম্যান ঘাটগামী একটি যাত্রীবাহী ট্রলার বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ৩৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা গেলেও পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম ও এক রোহিঙ্গা শিশু নিখোঁজ ছিলেন। এখনো রোহিঙ্গা শিশুটি নিখোঁজ রয়েছে।