ঈদে ‘চিঠি দিও’
আশরাফের একটা অদ্ভুত শখ আছে। পুরোনো বই কিনে পড়া। এই বই কেনার পেছনের রহস্য হলো- বইয়ের প্রথম পাতায় প্রথম মালিকের হাতের লেখা কিছু কথা বা অটোগ্রাফ। আশরাফ বই যতটা মনোযোগ দিয়ে পড়ে, বইয়ের পাতার লেখাগুলো তার চেয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে পড়ে। আশরাফের বিবাহিত জীবন সুখের না। পছন্দ করে বিয়ে করেছিল। অথচ বিয়ের দুই বছর না ঘুরতেই আশরাফের স্ত্রী মনি’র আচার-আচরণ বদলে যায়।
তার সঙ্গে অমানবিক আচরণ করতে থাকে স্ত্রী। কিন্তু আশরাফ মনিকে ভালোবাসে। তাই হয়তো সহ্য করে নেয় অথবা বিচ্ছেদের বেদনা হয়তো তার চেয়ে বেশি তাই সংসারে থেকে যায়। মনি সব সময় চাইতো বিচ্ছেদ। আশরাফ পুরোনো বইগুলো বের করে পড়ে সময় কাটাতে। একদিন আশরাফ বইয়ের প্রথম পাতায় একটা ঠিকানা পায়। যেখানে পত্রমিতালির আহ্বান। কিন্তু তারিখ দেওয়া ১৫-৬-১৯৯৮। ১৫ বছর আগের আহ্বানে চিঠি পাঠালে কেমন হবে বিষয়টা? মেয়েটা কি এখনও থাকে সে ঠিকানায়? একটা চিঠি পাঠিয়েই দেখা যাক না কী হয়! আশরাফ মাঝরাতে একা একা চিঠি লিখে। প্রথম চিঠি- তাই দেখতে চায় মেয়েটা তা পায় কিনা।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
আশরাফকে অবাক করে দিয়ে পরী নামের মেয়েটা চিঠির উত্তর দেয়। এভাবেই চিঠি চালাচালি হয় দুজনের। শর্ত থাকে যে চিঠিতেই আগাবে কথা। ফোন নম্বর, পরিবার ইত্যাদি কোনো কিছু নিয়েই কথা বলা যাবে না। চিঠিতেই সবকিছু।
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট
এমনই গল্প নিয়ে এগিয়েছে ঈদের বিশেষ নাটক ‘চিঠি দিও’। সৈয়দ শাকিলের পরিচালনায় এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। নাটকটি প্রচার হবে ঈদের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যা ৭টায় দীপ্ত টিভিতে।
আরও পড়ুন:
‘এভাবে বিয়ে করা নাকি অর্থহীন’