নিবিড়ের জন্যই নীরবে কাঁদে প্রাণ

কুমার বিশ্বজিৎকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

তারেক আনন্দ
০২ জুন ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
নিবিড়ের জন্যই নীরবে কাঁদে প্রাণ

সব উচ্ছ্বাস, আনন্দ কোথায় যেন হারিয়ে গেল। প্রাণবন্ত মানুষ, হাসিখুশি শিল্পী। যার কথা বলছি, তিনি কিংবদন্তি শিল্পী কুমার বিশ^জিৎ। গতকাল ছিল জনপ্রিয় এই শিল্পীর জন্মদিন। ১৯৬৩ সালের ১ জুন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিন বছর ধরে জন্মদিন নিয়ে তার কোনো আনন্দ নেই ছেলে নিবিড়ের হঠাৎ এক দুর্ঘটনায়। ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একমাত্র সন্তান কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। এর পর থেকে কানাডায়ই চলছে চিকিৎসা। অপেক্ষার প্রহর গুনছেন নিবিড় সুস্থ জীবনে ফিরে আসার। ছেলের জন্যই নীরবে প্রাণ কাঁদে কুমার বিশ^জিতের।

বাবার জন্মদিন নিয়ে নিবিড়ের কত পাগলামি ছিল। ২০২১ সালে জন্মদিনে বাবাকে চমকে দেওয়ার জন্য কাউকে না জানিয়ে কানাডা থেকে বাংলাদেশে চলে আসে নিবিড়। আর এখন নিবিড়ের শয্যাপাশে বাবা-মায়ের প্রতিটি দিন কাটছে। এখন কিছুটা শঙ্কামুক্ত নিবিড়।

কুমার বিশ^জিৎও স্টেজ শোতে ফিরেছেন। কানাডাসহ কয়েকটি দেশে স্টেজ শোতে সংগীত পরিবেশন করবেন। জন্মদিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দিনটি নিয়ে আমার তেমন কোনো উচ্ছ্বাস কাজ করে না। নিবিড়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। মায়ের কথা খুব মনে পড়ে। কয়েক বছর আগে মাকে হারিয়েছি। শেষ সময়টায় এসে মাকে নিয়ে কোথাও বের হতে পারতাম না। কিন্তু মারা যাওয়ার দুই বছর আগে মাকে নিয়ে বের হয়েছিলাম গরবিনী মা সম্মাননা অনুষ্ঠানে। ডা. আশীষ আমার অত্যন্ত স্নেহভাজন। তারই আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে মাকে নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিলাম। গরবিনী মা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন আমার মা। মায়ের মুখে ওইদিন যে হাসি দেখেছি, তা এখনও আমার চোখে ভাসে। জন্মদিন এলে মায়ের কথাই মনে পড়ে বেশি। আমার মনে হয়, মানুষ বিশেষ ভ্রমণের জন্য পৃথিবীতে আসে। কেউ সফল হয়, কেউ হয় না। তবে মরে যাওয়ার পরেও আমার গান যদি শ্রোতা-দর্শকের মাঝে বেঁচে থাকে, সেটাই হবে প্রাপ্তি।’

কুমার বিশ^জিৎ সংগীতে চার দশক পার করেছেন। তার বেড়ে ওঠাও বন্দরনগরীতে। ছোটবেলা থেকেই গানের প্রতি প্রবল আগ্রহ ছিল। ১৯৭৭ সালে একটি রেডিও অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার মাধ্যমে সুরের ভুবনে পা রাখেন তিনি। এর পর ‘রিদম ৭৭’ নামে একটি ব্যান্ডে দুই বছর গান করেন। ১৯৭৯ সালে নিজেই ‘ফিলিংস’ নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন। টেলিভিশনে কুমার বিশ্বজিৎ প্রথম গান করেছিলেন ১৯৮০ সালে। সিনেমা ও অডিও দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন তিনি। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ৩০টি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া বহু মিশ্র অ্যালবাম ও সিনেমায় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।

সাফল্যমণ্ডিত ক্যারিয়ারে কুমার বিশ্বজিৎ অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে দুইবার শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পুরস্কার ও সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ড অন্যতম।

জ ন প্রি য় ১০ গা ন

তুমি রোজ বিকেলে আমার বাগানে,যেখানে সীমান্ত তোমার, তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে, ও ডাক্তার, একটা চাঁদ ছাড়া রাত, চন্দনা গো, কান্নার রোল, ভিটা নাইরে, চতুর্দোলাতে চড়ে, তুমি যদি বল পদ্মা মেঘনা