দুর্যোগকবলিত এলাকায় বাপবিবোর পদক্ষেপে বিদ্যুৎ বিপর্যয় থেকে পুনরুদ্ধার
প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আজ শনিবার মোট ৪০টি পবিসের বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন শ্রেণীর গ্রাহক বিদ্যুৎ বিহীন ছিল। যেখানে মোট ৮৩ লাখ ৮১ হাজার ৭৮ জন গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় বিপর্যস্ত হয়ে যায়। পরে বিকেল ৩টা ৩০ পর্যন্ত দ্রুততার সাথে মোট ৮২ লাখ ২৯ হাজার ৭৭৮জন বিদ্যুৎবিহীন গ্রাহককে বিদ্যুতের আওতায় এনে পুনরুদ্ধার করা গিয়েছে।
বৈরী পরিস্থিতিতেই, কিছু কিছু রিমোট এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলা খুবই দুরূহ কাজ, কোনো কোনো এলাকার পথঘাট গাছপালাসহ পরিবেশগত কারণে এবং ঝড়-বৃষ্টি এখনো বিরাজমান থাকায় দ্রুততম সময়ে বাস্তবতার নিরিখে এখনো ১৮টি পবিস এর অবশিষ্ট ১ লাখ ০৫১ হাজার ৩০০ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা যায় নি। যা আজকের মধ্যে পুনরুদ্ধার করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই অর্জনের পেছনে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পদক্ষেপ/নির্দেশনা নিম্নরূপ:
১। নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করত: কর্তৃপক্ষের সময় সময় নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করা;
২। জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ, সরবরাহ সচল রাখা ;
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
৩।মোবাইল সার্বক্ষণিক চালু রাখতে পাওয়ার ব্যাংক সাথে রাখা;
৪। জরুরি চিকিৎসার নিমিত্ত হাসপাতালসহ এ সমস্ত মোবাইল টাওয়ারে অতিদ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলাসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন চালু রাখা ও গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরিস্থিতিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম সচল রাখতে এবং যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সকল ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এই দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আপনি জনসেবায় সরাসরি অবদান রাখছেন, যা আমাদের প্রতিষ্ঠান ও জাতির জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় ও গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে বাপবিবো ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
মৌসুমি দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয়:
# মৌসুমি দুর্যোগে সম্মানিত গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে বাপবিবো ও পবিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সমন্বয়ে ছোট ছোট টিম গঠন করে সার্বক্ষণিক মাঠে থাকতে হবে;
# লাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সকল ধরনের ছুটি ও রোস্টার ডিউটি বাতিল করে একযোগে পরিকল্পনা করে কাজ করতে যাতে করে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল করা যায় ;
# দুর্যোগের জনসাধারণ যাতে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার শিকার না হয় সেজন্য মাইকিং করে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রয়োজনে মসজিদে মসজিদে মাইকিং করা যেতে পারে।
# মৌসুমি দুর্যোগ শুরু হওয়ার পূর্বেই সকল ধরনের রাইট অফ ওয়ে সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে জনসাধারণ যাতে বাধা না দেয় সেজন্য জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে ;
# প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতা আহবানসহ দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক নিতে হবে।