এক দলের নয়, নির্বাচন জনগণের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে: গয়েশ্বর
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘আপনারা শুনেছেন সরকার পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে একটি দল নির্বাচন চায় আর আর কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায় না, কিন্তু আমার মনে হয় বিষয়টা উল্টো। সবাই নির্বাচন চায়, শুধুমাত্র একটি দল নির্বাচন চায় না। এই নির্বাচন দেশের জনগণের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে। সতের বছর মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেনি, ভোট দিতে পারেনি। সেই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিজের রায় প্রদানের জন্য জনগণ উদগ্রীব হয়ে আছে। ’
স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়ন যুবদলের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও তবারক বিতরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘জনগণ ভোট দেবে, যাকে খুশি তাকে দেবে। তাদের ইচ্ছামতো তারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করবে। আমাদের নেত্রী (বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া) গত বৃহস্পতিবার বলেছেন, গণতন্ত্রের পথে বারবার বাধা আসে, সেই বাধা অতিক্রম করতে হয়। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। আমরা অচিরেই সফল হব।’
বিএনপির সাংগঠনিক শক্তির জানান দিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মী যদি দুটি হাত উঠিয়ে রাজপথে নামে, তাহলে এই সরকার ভোট (নির্বাচন) দিতে বাধ্য হবে। ;
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এসময় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার দোয়া কামনা করে দলের স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘খালেদা জিয়া শুধু আজ বিএনপির নেত্রী না, তিনি জাতীয় নেত্রী। তিনি মাদার অব ডেমোক্রেসি। এই আপোষহীন নেত্রী শুধু বিএনপির না, আপামর জনগোষ্ঠীর নেত্রী। তার আহ্বানে সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে দ্বিধাবোধ করবে না। ’
‘সাপের লেজ দিয়ে কান চুলকানোর অভ্যাস ভালো না’- এমন বাক্য উচ্চারণ করে সরকারকে হুঁশিয়ারি দেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের জন্য অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, অনেক মা সন্তান হারিয়েছে, অনেক সন্তান বাবা-মা হারিয়েছে। এই সবজন হারানোর কান্নার পানি যখন রাজপথে আসবে তখন সাঁতরানোর জায়গা খুঁজে পাবেন না। ’
শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিষয়ে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘দেশি ও বিদেশি চক্রান্তে জিয়াউর রহমান প্রাণ হারালেন, কিন্তু আজও তিনি মানুষের প্রাণে তিনি বেঁচে আছেন, আজীবন চেঁচে থাকবেন। আজকে জিয়াউর রহমানের সেই গণতন্ত্র নেই। আমরা গণতন্ত্রেও জন্য লড়াই করছি। আমাদের লড়াই চলমান। যেদিন জনগণের ভোট জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে পারব. সেদিন আমরা থামব।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী। এ ছাড়া বক্তব্য দেন স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। আলোচনা শেষে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার শান্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নিপুণ রায় চৌধুরী জানান, এ ছাড়া দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে ২০টির মতো স্থানে শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষির্কী উপলক্ষে দুঃস্থদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু জায়গায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা হয়েছে।