মগবাজারে ভাইরাল সেই ছিনতাইয়ের মামলায় ৪ জন রিমান্ডে

আদালত প্রতিবেদক
৩০ মে ২০২৫, ১৭:৪৯
শেয়ার :
মগবাজারে ভাইরাল সেই ছিনতাইয়ের মামলায় ৪ জন রিমান্ডে

রাজধানীর মগবাজারে ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শুক্রবার ঢাকার মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রট ইসরাত জেনিফার জেরিন শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ড যাওয়া আসামিরা হলেন মো. সোহেল রানা, মো. জীবন ওরফে হৃদয়, মো. শামীম ও মকবুল হোসেন। এদের মধ্যে মকবুল ছিনতাইয়ের মালামাল ক্রেতা। অপর তিন আসামি সরাসরি ছিনতাইয়ে অংশ নেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম খলিল আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আসামি সোহেল, জীবন ও হৃদয়ের আইনজীবী সেন্টু আলম খান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। অপর আসামি মকবুলের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সোহেলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে ও অপর তিন আসামিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া ব্যাগ, ৯ হাজার ৬০০ টাকা, একটি মোবাইল ফোন, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি ও মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

মামলা থেকে জানা গেছে, গত ১৮ মে মগবাজারের গ্রিনওয়ে গলিতে ওই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সিসিটিভি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে পুলিশ।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী এক তরুণ একটি ব্যাগ কাঁধে হেঁটে যাওয়ার সময় তার পথ আটকায় বাইকে আসা তিনজন। বাইক থেকে দুইজন দুটি চাপাতি নিয়ে নেমে ওই তরুণকে একটি বাড়ির ফটকের সামনে চেপে ধরে। এর মধ্যে চাপাতি দিয়ে আঘাত করতেও দেখা যায় তাদেরকে। একপর্যায়ে ওই তরুণের ব্যাগটি কেড়ে নিয়ে দুই ছিনতাইকারী বাইকে উঠে পড়ে।

এরপর ভুক্তভোগী বাইকের সামনে এসে চাকা ধরে অনুরোধ করতে দেখা গেলে চাপাতি হাতে দুইজন আবার বাইক থেকে নেমে তাকে আঘাত করে সরিয়ে দেয়। এর মধ্যে বাইকটি চালানো শুরু করলে হামলাকারী একজন আবারও ভুক্তভোগীর দিকে চাপাতি হাতে তেড়ে যায়। মাত্র এক মিনিটের মধ্যে ভুক্তভোগীর ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়৷

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুল্লাহ গত ২৬ মে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন। তিনি একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করেন।