মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় ছাত্রদল নেতার আত্মহত্যা
যশোরের চৌগাছায় মোটরসাইকেল না কিনে দেয়ায় আগাছা নাশক (ঘাস পোড়া ওষুধ) পান করে চৌগাছা সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মামুন (২২) আত্মহত্যা করেছেন। আল মামুন চৌগাছা সদর ইউনিয়নের মন্মথপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম চারুর ছেলে।
মৃত্যুর মাত্র চারদিন আগে ফেসবুকে আল মামুন পোস্ট দিয়েছিলেন, 'এক এক করে সবাই বিদায় নেবে...!! -- কেউ মন থেকে আর কেউ পৃথিবী থেকে...!!'।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টার দিকে আল মামুন আগাছা নাশক খেলে পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পেরে তাকে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। সেখান থেকে তাকে রেফার করা হয় যশোর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। তবে পরিবারের সদস্যরা ঢাকার ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিলে সেখানে বিকেল ৫টার সময় তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেশিরা জানান, কিছুদিন ধরে মোটরসাইকেল কিনে না দেয়ায় আল মামুনের সাথে বাবার মনোমালিন্য চলছিলো। বৃহস্পতিবার ভোরে আল মামুনের বাবা রবিউল ইসলাম পটোল খেতে ফুল ছোয়াতে নিজের সাথে যেতে বলেন আল মামুনকে। এ সময় সে আবারও মোটরসাইকেল কিনে দেয়ার কথা বলে। এ নিয়ে বাবার সাথে কথা কাটাকাটি হয় তার। পরে বাবা একাই পটোল খেতে চলে যান। পরে মামুন নিজের শোবার ঘরে বিষ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে।
কিছুক্ষণ পরে তার চিৎকার চেঁচামেচিতে মা'সহ স্থানীয়রা তাকে প্রথমে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে তার অবস্থার আরো অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। তবে আল মামুনের আত্মীয়-স্বজনরা ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে আল মামুনের মৃত্যু হয়।
এ রিপোর্ট লেখার সময় তার লাশ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে নেয়ার প্রস্তুতি চলছিলো। চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।