আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ডিএসসিসিতে শ্রমিক দলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নগর ভবনে শ্রমিক দলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্স।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ডিএসসিসির জাতীয়তাবাদী শ্রমিক সংগঠন ও শ্রমিক ইউনিয়নের দুই পক্ষের মধ্যে এই সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে দুই পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ডিএসসিরি মেয়র পদ বুঝিয়ে দিতে চলমান আন্দোলনে দুই পক্ষের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আজ এ আন্দোলনে দুই পক্ষই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্সের পক্ষের কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় নগর ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন তারা। এ ঘটনার পর নগর ভবন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে প্রিন্সও রয়েছেন, তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। প্রিন্সের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার সহকর্মীরা।
সংঘর্ষের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান প্রিন্স আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা আজকে জানতে পারি কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলতে মেয়র ইশরাক হোসেন নগর ভবনে আসবেন। সেজন্য আমরা এ বিষয়ে আলাপ করতে বুড়িগঙ্গা হলে আলাপ করছিলাম, কিন্তু হঠাৎ করে আরিফ চৌধুরী ও তার লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। আমিসহ পাঁচজনের মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হই। আমি শাহবাগ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।’
হামলার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মেয়র ইশরাক হোসেনের শপথ ইস্যু নিয়ে চলমান আন্দোলনে বিভিন্ন সময় আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা আমাদের সঙ্গে আলাপ করে, কথা বলে এটাই তাদের সমস্যা। ওরা হামলা করার সময় বলে, নগর ভবন আমরা চালাব।’
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মী জানিয়েছেন, ইশরাক ইস্যুকে কেন্দ্র করে চলমান আন্দোলনে আধিপত্য বিস্তার নিয়েই মূলত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব আন্দোলন ও সংঘর্ষের কারণে নগর ভবনের সাধারণ কর্মচারী-কর্মকর্তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে ব্যাহত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই জরুরি সব কাজকর্ম বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি আরিফ চৌধুরী বলেন, ‘নগর ভবনে আজকের ঘটনায় আমি নিজেও আহত হয়েছি। তবে এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে আমাদের নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে।’
এ ঘটনার পর দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন নগর ভবনে আসেন। তিনি দুই পক্ষকেই সংযত হওয়ার আহ্বান জানান।