‘ছাত্রশিবির প্রতিটি ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতি শুরু করেছে ’

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৯ মে ২০২৫, ১৩:১৪
শেয়ার :
‘ছাত্রশিবির প্রতিটি ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতি শুরু করেছে ’

ছাত্রশিবির গত বছরের ৫ আগস্টের পর প্রতিটি ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতি শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির। আজ বৃহস্পতিবার নয়া পল্টনে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন অভিযোগ করেন। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এদিন চট্টগ্রামের এক নারী শিক্ষার্থীর ওপর হামলা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান- ৫ আগস্টের পর থেকে বারবার আমরা বলে আসছি শিবির গত সাড়ে ১৫ বছর বাংলাদেশে যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে, সেই গণআন্দোলনগুলোতে তারা শুধুমাত্র তাদের নেতাদের মুক্তির আন্দোলনে শরিক হয়েছে। তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সেভাবে তারা সম্পৃক্ত হয়নি। ভোটাধিকারের জন্য গত '১৪ এবং '১৮ সালের আন্দোলন যেভাবে বাংলাদেশের মানুষ করেছে সেখানে তাদের সম্পৃক্ত হতে দেখা যায়নি। বরং ৫ আগস্টের পর থেকে তারা বিভিন্ন ক্যাম্পাসে দখলদারিত্ব শুরু করেছে। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেখেছি একটি গণতান্ত্রিক মিছিলে তারা হামলা করেছে। চট্টগ্রামে আপনারা দেখেছেন একজন নারী শিক্ষার্থীকে কিভাবে হামলা করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাম দলের মিছিলে প্রকাশ্যে হামলা করার প্রচেষ্টা করেছিল।’

তিনি বলেন, ‘শিবির যে প্রতিটি ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতি শুরু করেছে ৫ আগস্টের পর থেকে, তা আস্তে আস্তে উন্মোচন হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সব সময় বলে আসছে, গুপ্ত রাজনীতি করার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চরমভাবে যে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, তা স্পষ্ট হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার বিপরীতে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকে কেন্দ্র করে একটি মব তৈরি করে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

নাছির উদ্দীন নাছির আরও বলেন, ‘গত দুই দিন আগে ছাত্রদলের সেই সমর্থকের ওপর গুপ্ত সংগঠনের নেতারা আবার হামলা করেছেন। এর প্রতিবাদে আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আজ অবস্থান কর্মসূচি চলছে। আমরা মনে করি, প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে গণতান্ত্রিক রাজনীতি থাকা উচিত। কোনো গুপ্ত রাজনীতি করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা উচিত নয়। শিবির কথিত সাধারণ শিক্ষার্থী শব্দটি ব্যবহার করে সামগ্রিকভাবে প্রকৃত সাধারণ শিক্ষার্থীদের চরমভাবে বিভ্রান্ত করে।’

অন্য কোনো ছাত্র সংগঠন এমন কাজ করে না বলে মনে করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।