আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, পদত্যাগ চাইনি: সালাহউদ্দিন আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
২৮ মে ২০২৫, ১৭:১৪
শেয়ার :
আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, পদত্যাগ চাইনি: সালাহউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। আমরা তার পদত্যাগ চাইনি। কিন্তু তিনি পদত্যাগের নাটক করেছেন। আমরা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘নিরপেক্ষ সরকার, গণতন্ত্র ও নির্বাচনের দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সবার লক্ষ্য হোক সবার আগে বাংলাদেশ। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামীর বাংলাদেশ হবে নতুন বাংলাদেশ।’

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট ও ফরিদপুর বিভাগের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সমাবেশে এসব কথা বলেন।

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা এমন রাষ্ট্র নির্মাণ করতে চাই যেখানে তারুণ্যের অংশগ্রহণ থাকবে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছি। অত্যন্ত সুকৌশলে ঐক্যে ফাটল ধরার চেষ্টা চলছে। আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন ও তাদের লুটপাটের কথা ভুলতে বসেছি। আমরা গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছি। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ শাসন আমলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ২০০ বছরে যা লুটপাট করেছে তারচেয়ে বেশি সম্পদ লুট করেছে আওয়ামী লীগ। তারা ৩০ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। ৪ লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। বিদ্যুৎ ও ব্যাংক খাতে লুটপাট চালিয়েছে। ব্যাংক থেকে যত টাকা লুট করেছে তা দিয়ে ৩৬টা পদ্মা সেতু বানানো যেত। আমাদের একমাত্র শত্রু আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ কখনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেনি। তারা গণতন্ত্র হত্যাকারী।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেছি তারা নাকি বিভিন্ন দেশের এজেন্ট হয়ে গেছি। আসলে যারা আমাদের অন্তরায় মনে করে তারা এসব বলে।’

জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।