চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে তাণ্ডব /
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্মচারীদের সঙ্গে রোগীদের স্বজন ও জুলাই আহতদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গেও সংঘর্ষে জড়ায় জুলাই আন্দোলনে আহতরা।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সম্প্রতি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত চারজন রোগী হাসপাতালে বিষপান করেন। এটিকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের পরিচালক, চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা, গায়ে হাত তোলা ও ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঘটে। পরিচালকের কক্ষে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়ারও চেষ্টা করেন জুলাই আহতরা।
এ ঘটনার প্রতিবাদে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজ সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। এতে হাসপাতালে আসা রোগীরা বিপাকে পড়েন। শিডিউল অনুযায়ী অস্ত্রোপচার করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। আউটডোরে লাইন থাকলেও টিকিট দেওয়ার লোক ছিল না। রুমের সামনে লোক থাকলেও চিকিৎসক ও কর্মচারীরা ছিলেন না। তবে জরুরি বিভাগ খোলা ছিল।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এ সময় সেবাপ্রার্থীদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা, ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে পুরো হাসপাতাল ও আশপাশে। পরে হাসপাতালে অবস্থান করা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত রোগীরাও এতে যোগ দেন।
দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে অবস্থান নেওয়া পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তারা।
আরও পড়ুন:
নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছে এলডিপি?
এ সময় কয়েকজন পুলিশের ওপর হামলা করতে দেখা যায়। জুলাই আহতদের অভিযোগ, পুলিশ তাদের ওপর হামলা করেছে। তাই তারা প্রতিরোধ করেছেন।
এ দিকে হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান নিয়ে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘কর্মবিরতি থাকা হাসপাতালের নার্স ও স্টাফদের ওপর জুলাই যোদ্ধারা হামলা করেছে। এতে আমাদের চিকিৎসক ও নার্স আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় জুলাই যোদ্ধারা হাসপাতালে ভাঙচুর করে।’
এদিকে, এ ঘটনায় সকাল থেকে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হন রোগীর স্বজনরা।