সরকার বিদেশিদের তাঁবেদারি করতে করিডর-বন্দর দেওয়ার খেলায় মেতেছে: রাশেদ

অনলাইন ডেস্ক
২৭ মে ২০২৫, ২১:২০
শেয়ার :
সরকার বিদেশিদের তাঁবেদারি করতে করিডর-বন্দর দেওয়ার খেলায় মেতেছে: রাশেদ

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেছেন, ‘সবকিছু সঠিকভাবে করার জন্য উপদেষ্টা পরিষদের সংস্কার জরুরি, কিন্তু সরকারের সেদিকে মনোযোগ নেই। সরকার বিদেশিদের তাঁবেদারি করতে করিডর ও বন্দর দেওয়ার খেলায় মেতেছে। ’

আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা; সংস্কার ও বাস্তবতা নিয়ে পেশাজীবীদের ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদ এ সভার আয়োজন করে।

রাশেদ খাঁন বলেন, ‘আবার বিনিয়োগ আসবে, রোহিঙ্গা ফেরত যাবে- কত কথার ফুলঝুরি। যতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবেন, ততটুকু স্বপ্ন দেখান। অতিরিক্ত স্বপ্ন দেখিয়ে বাস্তবায়ন না করতে পারলে জাতি হতাশ হবে। আমরা কেউ বলি নাই সংস্কার ও বিচার ছাড়া নির্বাচন দিয়ে দেন। তবে একটার সঙ্গে আরেকটা মুখোমুখি করবেন না।’

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকারকে বলতে চাই জাতীয় সংলাপ যাতে চা, নাশতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে। দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে কী সিদ্ধান্ত নিলেন, তা জাতিকে জানান। নতুবা এই সংলাপ ব্যর্থ হিসেবে বিবেচিত হবে। ’

তিনি বলেন, ‘বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করা নিয়ে এতে গড়িমসি কেন? জাতিকে অন্ধকারে রেখে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে সংস্কার করা যায় না। সংস্কারের জন্য স্বচ্ছতা ও পরিকল্পনা লাগে। ১০ মাসে কি সংস্কার করলেন? পদত্যাগের নামে ইমোশনাল ব্লাকমেইল করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো রহস্য আছে। নতুবা প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের নেতার মুখ থেকে শুনতে হয়?’

রাশেদ খাঁন বলেন, ‘কেন তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) পদত্যাগ করবেন? তার পদত্যাগ কি কেউ চেয়েছে? বরং এই জাতি তাকে সম্মানিত করেছে, ভবিষ্যতেও করবে। উপদেষ্টা পরিষদে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়া বাকিদের পারফরম্যান্স তো দেখি না। এই অযোগ্য উপদেষ্টা পরিষদ দিয়ে টিম জেতা যাবে না। প্রধান উপদেষ্টা মাঝেমধ্যে ৪ বা ৬ মারছে। জাতির মধ্যে এতে নতুন উন্মাদনা তৈরি হচ্ছে, কিন্তু দেখলাম তো বাকিদের ১০ মাসের ব্যর্থতা। এভাবে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন কোনোটাই সঠিকভাবে হবে না।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সভাপতি ডেন্টিস্ট জাফর মাহমুদ। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান।  এতে আরও বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক লতিফ মাসুম, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ড. ইমরান হোসাইন, ড. অ্যাডভোকেট মোহা. শরিফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মেহেদি হাসান, মনিরুল মাওলা, জি এম রোকোনুজ্জামান, বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান প্রমুখ।