অবরুদ্ধ গাজায় নিহত প্রায় ৫৪ হাজার

আমাদের সময় ডেস্ক
২৬ মে ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
অবরুদ্ধ গাজায় নিহত প্রায় ৫৪ হাজার

বিপর্যস্ত গাজার প্রায় ৭৭ ভাগ এলাকায় ইসরায়েলের ‘গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের’ মতো ভয়াবহ আগ্রাসন চলছে। বিশ^জুড়ে নিন্দা, প্রতিবাদ এবং কূটনীতিক চাপকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মাসের পর মাস দখলদার বাহিনী এই পৈশাচিক নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে। গতকাল গাজাজুড়ে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন ২২ জন। এর মধ্য দিয়ে চলমান যুদ্ধে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা প্রায় ৫৪ হাজারে দাঁড়াল। গতকাল রবিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আল জাজিরার।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ৯৬৯ জনে। ইসরায়েলে যে নির্বিচার হত্যাকা- চালিয়ে যাচ্ছে এতে নিহতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়ানো সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৭৯৭ জন। এই হতাহতের অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু।

বোমা ও স্থল হামলার পাশাপাশি জীবন ধারণের জরুরি পরিষেবা নিয়ন্ত্রণ করছে ইসরায়েল। ১১ সপ্তাহ পর গত সপ্তাহে ১০০ ট্রাক ত্রাণসামগ্রী গাজায় প্রবেশ করলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। দাতব্য সংস্থাগুলো বলছে, গাজায় প্রতিদিনই ১০০ ট্রাক ত্রাণ

প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে অনাহারে চার বছরের শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ত্রাণ সংগ্রহ করতে আসা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করেও ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কেউ যদি গাজায় কোনো কিছু বিক্রি করে তাহলে তাকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরে এক সবজি বিক্রেতার ওপর বোমা হামলা করা হয়েছে।

আপনি ঘুমান কীভাবে’

হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি উপেক্ষিত হওয়ায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জিম্মিদের স্বজনরা। গত শনিবার তেল আভিভ, কিরইয়াত গাত, জেরুজালেম ও শার হানেগেভ জংশনে বিক্ষোভে নেমে আসে হাজারো মানুষ। জিম্মি হওয়া মতান জাংগাউকারের মা আইনাভ জাংগাউকার বলেছেন, ‘বলুন তো, প্রধানমন্ত্রী, আপনি কীভাবে রাতে ঘুমাতে পারেন? ৫৮ জন জিম্মিকে অবহেলায় ফেলে রেখেছেন, এটা জেনেও কীভাবে আয়নায় নিজেকে দেখেন?’ তিনি নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ করে প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনার বিবেক কী একবারও সাড়া দেয় না?