নবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় জামিনে এসে ফের সংঘর্ষ, আহত ১৫

দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
২৫ মে ২০২৫, ২৩:৫৯
শেয়ার :
নবাবগঞ্জে হত্যা মামলায় জামিনে এসে ফের সংঘর্ষ, আহত ১৫

মোটরসাইকেল নিয়ে বিয়েবাড়ি যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় পুলিশ গত ১৩ ফেরুয়ারী রাতেই নয়াকান্দা গ্রাম থেকে জমিলা বেগম, মোজাম্মেল হোসেন ও বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করে। পরে দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাদের জামিন না দিয়ে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু প্রায় তিন মাস জেল খেটে জামিনে এসেই ফের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আট জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। 

আজ রবিবার বিকেলে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের নয়াকান্দা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন খালেক দেওয়ান,জাবেদ দেওয়ান, এমদাদুল দেওয়ান, মাইনুদ্দিন দেওয়ান, মোহাব দেওয়ান, ইয়াছিন দেওয়ান, রতন দেওয়ান, নাজমা বেগম।

পুলিশ জানায়, মামলার ৯ জন আসামী আজ রোববার জামিন পেয়ে বাড়িতে ফিরেই নিহত মোকলেছের স্বজনদের উপর হামলা করে। বিকেলে পলাশ, রাজিব, রাসেল, তানভীর, ইব্রাহীম বাবুর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি গ্রুপ নিহতের পক্ষের মালেক দেওয়ানসহ ৪/৫টি বাড়ীতে হামলা করে। এতে তাঁদের ৯ জন আহত হয় বলে দাবি করে। 

মালেক দেওয়ানের ছেলে রতন দেওয়ান জানান, তার মা নাজমা বেগমকে মাথায় আঘাত করে। আহতদের বেশীর ভাগ ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২ জন নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। 

এদিকে মালেক দেওয়ানের লোকজন তাদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রাজিব ও পলাশ গ্রুপের উপর হামলা করলে তাঁদের ৫/৬ জন আহত হয়।  

এ বিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে এসে প্রথমে মালেক দেওয়ানের বাড়িতে হামলা করে। পরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংবাদ পেয়েই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারী বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য স্থানীয় পায়েল নামে এক যুবকের কাছে মোটরসাইকেল চান শাওন। তবে পায়েল তাকে মোটরসাইকেল দিতে অস্বীকার করায় ক্ষুব্ধ হন শাওন। এ ঘটনার জেরে পায়েলের চাচা মোকলেছুরের সঙ্গে শাওন ও তার সহযোগীদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে শাওনের চাচাতো ভাই মোজ্জাম্মেল, জুয়েল, ফয়সাল, কয়েছসহ কয়েকজন হাতুড়িসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে মোকলেছুরের ওপর হামলা করে তাকে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।