জাবিতে গাঁজা সেবনকালে ছাত্রলীগকর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী আটক
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের কক্ষে গাজা সেবনকালে ৩ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী।
আজ রবিবার দুপুর ২টার দিকে হলের বি-ব্লকের ২৫৫নং কক্ষ থেকে তাদের আটক করে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান ও নিরাপত্তা কর্মীদের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ওই কক্ষে বসবাস করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী হৃদয় ইসলাম এবং একই ব্যাচের নৃবিজ্ঞান বিভাগের রাইসুল রুবাই। তারা দুইজনেই হলের অবৈধ ছাত্র এবং নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী।
হৃদয় বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে এলোটেড এবং রাইসুল রুবাই ওই কক্ষে সিট দখল করে রাখলেও থাকতেন অন্য হলে। তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ শাসনামলে গণরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।
হলের দুইজনের ওই কক্ষে একাই থাকতেন হৃদয়। তিনি নিয়মিত গাঁজার আসর বসাতেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
আটককৃত অন্য দুইজন হলেন- নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী কিরণ সূত্রধর হিমু ও তন্ময় চন্দ্র রায়। তারা আলবেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ যোহর নামাজ পড়ে হলের বারান্দা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা গাঁজার গন্ধ পান। এ সময় ওই কক্ষের দরজায় কয়েকজন কড়া নাড়লেও ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। পরে খবর পেয়ে হলের প্রাধ্যক্ষ ঘটনাস্থলে এসে তাৎক্ষণিকভাবে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় তাদের ৩ জনকে আটক করেন।
অভিযুক্ত হৃদয় বলেন, ‘আমি গত পরশুদিন ঢাকায় আসার সময় গাঁজা নিয়ে আসি। আজকে আমি বাড়ি চলে যেতাম। তাই ভাইদের জানিয়েছিলাম আপনারা আসতে পারেন। পরে ওনারা আসেন। হল প্রশাসনের মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতি আমি জানতাম। আমার ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।’
অভিযুক্ত কিরণ সূত্রধর হিমু গাজা সেবনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘হৃদয়ের সঙ্গে আমার পূর্বপরিচয় ছিলো না। আজকে তন্ময়ের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার পরে একসঙ্গে হৃদয়ের কক্ষে আসি।’
আর অভিযুক্ত তন্ময় চন্দ্র রায় দোষ স্বীকার করে বলেন, ‘বেলা ১১টার দিকে আমাকে হৃদয় গাঁজা সেবনের জন্য আসতে বলে। আমি আর হিমু হলের তার কক্ষে আসি।’
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘হৃদয়কে শোকজ করা হবে এবং তাকে বিকালের মধ্যে হলত্যাগ করতে বলেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস বরাবর অভিযোগপত্র দেব। যেহেতু তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের এলোটেড শিক্ষার্থী সেহেতু উক্ত হলের প্রভোস্টকে বিষয়টি অবহিত করব।’