ড. ইউনূসের পদত্যাগ বিষয়ে যা বললেন রিজওয়ানা হাসান

অনলাইন ডেস্ক
২৩ মে ২০২৫, ১৩:০৭
শেয়ার :
ড. ইউনূসের পদত্যাগ বিষয়ে যা বললেন রিজওয়ানা হাসান

প্রধান উপদেষ্টা নতুন কোন সিদ্ধান্ত নিলে, নির্বাচন বা দায়িত্ব পালন ইস্যুতে কোনো বক্তব্য থাকলে তিনি নিজেই বলবেন বলে জানিয়েছেন পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বাংলাদেশ প্রাণিবিদ্যা সমিতির ২৪তম জাতীয় সম্মেলন এবং বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এখন কিছু কিছু গুরু দায়িত্ব আছে, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। যদি কোনো কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি-ওটা আপনারা উনার (প্রধান উপদেষ্টার) কাছ থেকেই শুনবেন।’

চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর বাইরে এদিক-সেদিক যাওয়ার সুযোগ নেই।’

তবে শুধুমাত্র নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়নি উল্লেখ করে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। এর বাইরে একদিনও এদিক-সেদিক করার সুযোগ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।’

অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করলেও একাধিক দায়িত্বে সরকার বাধার সম্মুখীন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

চাপের প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ধরুন, প্রত্যাশার একটা চাপ হচ্ছে যে আমরা পারফর্ম করতে পারছি কিনা। আমাদের বিবেচনায় ওটাই একমাত্র চাপ। এর বাইরে আর কোনো চাপ নেই। ধরুন, আপনি এখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মিটিংয়ে যাবেন-সচিবালয় থেকে যমুনা-যেতে পারবেন না, রাস্তা বন্ধ। কেন রাস্তা বন্ধ? এরকম অনেক সমস্যা আছে, যেগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যায়।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যদি দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের দায়িত্বে থাকাটা প্রাসঙ্গিক। আর যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারি, তাহলে আমাদের যার যার নিজস্ব অনেক কাজ রয়েছে। তখন দায়িত্ব পালন করাটা আর প্রাসঙ্গিক থাকল না।’

এর আগে, অনুষ্ঠানে তিনি জানান, ঢাকার ৪টি নদী দূষণমুক্ত করতে বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তুরাগ নদী দূষণমুক্ত কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে এই চুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে।

এছাড়া, টাঙ্গাইলের মধুপুরে থাকা গারো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বন বিভাগের করা মামলা প্রত্যাহার করা হবে। সেইসঙ্গে গারোদের ভূমি জটিলতাও নিরসন করা হবে বলেও জানান এই উপদেষ্টা।

আগামীকাল মধুপুরের সীমানা নির্ধারণের কাজ করা হবে বলেও জানান রিজওয়ানা হাসান।