এনজিও চালিয়ে পয়সাপাতি কামানোই তাদের কাছে মুখ্য বিষয়: রাশেদ খান

অনলাইন ডেস্ক
২৩ মে ২০২৫, ১১:২৬
শেয়ার :
এনজিও চালিয়ে পয়সাপাতি কামানোই তাদের কাছে মুখ্য বিষয়: রাশেদ খান

ইমোশনাল ব্লাকমেইল করা হচ্ছে মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, ‘দেশের সিকিউরিটি থ্রেট তাদের কাছে মুখ্য বিষয় না, এনজিও চালিয়ে পয়সাপাতি কামানোই তাদের কাছে মুখ্য বিষয়।’

আজ শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে এমন মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক।

রাশেদ খান বলেন, ‘মূল ঝামেলা বেঁধেছে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে! এই দুটো বিদেশিদের দেওয়ার জন্য একমত হয়ে যান, উপদেষ্টা পরিষদ বাগবাকুম করতে থাকবে। প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে বিদেশ নির্ভর এসব উপদেষ্টারা নিজেদের প্রভুদের দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘১০ মাসেও সরকার যদি কোন সংস্কার করতে না পারে, সেই ব্যর্থতা কার? সংস্কার কি কোন পুঁথিগত আলাপ দিয়ে সম্ভব?’

সংস্কার বাস্তবায়নে সরকারের করণীয় জানিয়ে রাশেদ খান লিখেছেন, ‘এইজন্য দরকার সকল দলের অংশগ্রহণে ঘনঘন রাজনৈতিক সংলাপ। কিন্তু সেটি করা হয় না। এখনো পর্যন্ত দলগুলোকে নিয়ে একটেবিলে বসে মনখুলে কোন আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। নামেমাত্র ইস্যুভিত্তিক ২টা সংলাপ ডেকেছে, প্রতিটা দলের ১ জন করে ২-৩ মিনিট কথা বলার সুযোগ পেয়েছে। সেটাও আবার সংস্কারের জন্য সংলাপ নয়।’

ঐক্যমত্য না হাওয়ার পেছনে রাশেদ খান বলেন, ‘১০ মাসেও যদি রাজনৈতিক দলগুলোর একটেবিলে বসিয়ে সময় নিয়ে আলোচনার করার উদ্যোগ তারা না নেয়, ঐক্যমত্য কি আপনাআপনি হয়ে যাবে? সবকিছু আবেগ দিয়ে হয় না, বাস্তবায়নের জন্য যোগ্যলোকের প্রয়োজন হয়। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের সবথেকে বড় দুর্বলতা তার সঙ্গে যোগ্যলোককে তিনি নেননি, ছাত্রদের পরামর্শে একদল অনভিজ্ঞ, বিতর্কিত দিয়ে তিনি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনে সম্মতি দিয়েছেন।’

রাশেদ খান আরও লিখেছেন, ‘আর এজন্যই সবচেয়ে বড় সমস্যাটা হচ্ছে যে, ১০ মাসেও উপদেষ্টাদের কাজের সফলতা, রাষ্ট্র সংস্কারে যথাযথ পদক্ষেপগ্রহণ, গণহত্যার বিচারে তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে না। এক ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের পারফরম্যান্স, আন্তর্জাতিক ইমেজ দিয়ে সবকিছুর পরিবর্তন হবে না। ভাল টিম না পেলে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হওয়া যায়, কিন্তু ম্যাচ জেতা যায় না। ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস স্যারের এই দুর্ভাগ্য যে, তিনি নিজে ভাল খেলতেছেন, কিন্তু ম্যাচ জেতানোর প্লেয়ার পাচ্ছেন না। একারণেও ১০ মাসে কোন সংস্কার হয়নি।’