বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবার

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
২২ মে ২০২৫, ১৭:৪২
শেয়ার :
বন্ধুর স্ত্রীকে বিয়ে করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবার

বন্ধুর স্ত্রীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মফিজুল ইসলাম (৩৪) ও তার পরিবারের লোকজন। ভুক্তভোগীদের প্রাণনাশসহ নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে প্রতিপক্ষ। এ নিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করছেন মফিজুলের দ্বিতীয় স্ত্রী রুপালী খাতুন।

জানা গেছে, শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর ছেলে মফিজুল ইসলাম (৩৪)। তার দুই সন্তান রয়েছে। একই গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে জুয়েল মিয়ার (২৭) সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে বন্ধু জুয়েল মিয়ার স্ত্রী রুপালী খাতুনের সঙ্গে মফিজুলের পরিচয় হয়। তারও দুই সন্তান রয়েছে।

একপর্যায়ে স্বামী জুয়েল মিয়ার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কাজী অফিসের মাধ্যমে তালাক দেন স্ত্রী রুপালী। পরে জুয়েলের বন্ধু মফিজুলের সঙ্গে রুপালী দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

এরপর থেকে রুপালীর দ্বিতীয় সংসারের সুখ-শান্তি বিনষ্ট করতে বর্তমান স্বামী মফিজুল ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করেন প্রথম স্বামী জুয়েল মিয়া। এরই জেরে গত ১৫ মে মফিজুল ইসলামের বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন জুয়েল ও তার সহযোগীরা। এ সময় তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদেরকে রক্ষা করেন।

রুপালী বেগম বলেন, ‘দুই সন্তান রেখে জুয়েল মিয়াকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করায় বর্তমান স্বামীসহ তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ও নানা ষড়যন্ত্র শুরু করছে জুয়েল ও তার লোকজন। এমনকি শ্বশুর মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা অপপ্রচার ছড়িয়ে যাচ্ছে তারা। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি।’

রুপালীর বর্তমান স্বামী মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বন্ধু জুয়েল মিয়াকে তালাক দিয়ে রুপালী আমাকে বিয়ে করায় দুই বন্ধুর মাঝে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। এমনকি আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে জুয়েল। এমতাবস্থায় আমি ও আমার পরিবারের লোকজন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।’

জানতে চাইলে জুয়েল মিয়া তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার সাবেক স্ত্রী রুপালী বেগম যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। তিনি আমাকে ডিভোর্স দিয়েছে, সেই ডিভোর্স লেটার আমি এখনো পাইনি। বরং তিনি আমার ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সটকে পড়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।’

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহেল রানা বলেন, ‘রুপালী বেগমের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’