বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, রোহিঙ্গা সংকট ও পরিবেশ রক্ষায় সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে নরওয়ে

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
২১ মে ২০২৫, ২০:৪৭
শেয়ার :
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, রোহিঙ্গা সংকট ও পরিবেশ রক্ষায় সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে নরওয়ে

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, রোহিঙ্গা সমস্যা ও পরিবেশ রক্ষায় সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে নরওয়ে। দুই দিনব্যাপী নরওয়ের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি স্টিনে রেনাতে হোহায়েম বাংলাদেশ সফরে এসে এই আশ্বাস দেন।

সফরের প্রথম দিনে, গতকাল মঙ্গলবার তিনি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

এই সাক্ষাৎগুলোতে স্টেট সেক্রেটারি হোহায়েম বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক উত্তরণ পর্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নরওয়ের দৃঢ় সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। তাছাড়াও আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ ও ব্যাবসা, মানবাধিকার, লিঙ্গ সমতা ও নারীর অধিকার ইত্যাদি বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। একই সঙ্গে ফিলিস্তিনে চলমান মানবিক বিপর্যয় ও ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়েও মতবিনিময় হয়।

এর আগে, স্টেট সেক্রেটারি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে তারা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিনিয়োগ ও সবুজ রূপান্তরে বাংলাদেশের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী নরওয়েজিয়ান কোম্পানিগুলো কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যে ক্রমাগত কাজ করে চলছে এবং একটি সুসংগঠিত গ্রিন ট্রানজিশন পরিকল্পনা ও জাতীয় গ্রিডে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এই লক্ষ্যে পৌঁছাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

এছাড়া, প্লাস্টিক দূষণ হ্রাস এবং তরুণ প্রজন্মকে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও আলোচনা করা হয়।

স্টেট সেক্রেটারি প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের যুব নেতৃত্বাধীন একটি প্রকল্প পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি তরুণ সদস‍্যদের সঙ্গে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য ও অধিকার (SRHR) বিষয়ে সচেতনতা, যুব আয়ের উদ্যোগ এবং পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক তাদের কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ।

সফরের দ্বিতীয় দিনে আজ বুধবার স্টেট সেক্রেটারি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি জাতিসংঘ ও বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থার পরিচালিত কার্যক্রম ঘুরে দেখেন, যেগুলো নরওয়ে ও অন্যান্য দাতাদের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তিনি দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ। তিনি বলেন, ‘নরওয়ে রোহিঙ্গা সংকট, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান জাতিগত উত্তেজনা ও মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে বিভিন্ন স্তরে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।’