ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ফের যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
২১ মে ২০২৫, ১৮:৩৩
শেয়ার :
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ফের যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ফের যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত থেকে আজ বুধবার ভোর পর্যন্ত বাসটিতে যাত্রীবেশে ডাকাতরা ছুরি-চাপাতির মুখে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুটে নেয়। ঘটনাটি ঘটে যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্ত এলাকায়।

বাসের চালক ও যাত্রীরা জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আব্দুল্লাহপুর থেকে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল, আশুলিয়া থেকে কিছু যাত্রী উঠে। প্রায় ১০ জন নারীসহ ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি রাত ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী এলেঙ্গা অতিক্রম করে। যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের সংযোগ সড়কের কয়েক কিলোমিটার অতিক্রম করার পর যাত্রীবেশে থাকা ১০/১২ জন ডাকাত ছুড়ি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের কাছ থেকে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

বাসের সুপারভাইজার আতিকুর রহমান জানান, বাসটি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার পর ডাকাতরা যাত্রীদের ও বাসের চালকসহ সকলের চোখ, মুখ বেঁধে ফেলেন। যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের গোলচত্তর এলাকায় গিয়ে বাসটি ঘুরিয়ে আবার ঢাকার দিকে চলতে থাকে। চলাচলের সময় প্রত্যেক যাত্রীকে তল্লাশি করে মুঠোফোন, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারএবং অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়। পরে তারা বাসটি নিয়ে সাভারের চন্দ্রা-আশুলিয়া পর্যন্ত নিয়ে যায়।

বাসের চালক আবেদ আলী জানান, রাতভর বাসটি নিয়ে ডাকাতরা ৪ থেকে ৫ বার টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-আশুলিয়া যাওয়া-আসা করে। আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় বাসটি রেখে ডাকাতদল চলে যায়। পরে যাত্রীদের নিয়ে আজ সকালে টাঙ্গাইল সদর থানায় যায় বাসটি।

টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বাসের স্টাফ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

বাসের যাত্রী বগুড়ার আদমদীঘির জুয়েল মিয়া জানান, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নারী যাত্রীদের তল্লাশির সময় শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটে। তার চোখ-মুখ বাঁধা ছিল।

রংপুরের এক বাস যাত্রী জানান, হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ডাকাতরা প্রত্যেক যাত্রীর দেহ কয়েকবার করে তল্লাশি করে। যার যা কিছু ছিল সব নিয়ে যায় ডাকাতরা।  

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহমদ বলেন, ‘মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।’

উল্লেখ্য , এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মহাসড়কে ইউনিক রয়েলসের একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের ২ আগস্ট একই কায়দায় কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।